Malda: হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও হল না শেষ রক্ষা, খেলতে খেলতে বালতির জলে ডুবে মৃত্যু একরত্তির
Malda: বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতে বারান্দায় খেলা করছিল মোতালেফ। সেখানেই রাখা ছিল জল ভর্তি বালতি। সবার অলক্ষ্যে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
চাঁচল: বছর খানেক আগে দেখছিল পৃথিবীর আলো। সবে শিখছে হাঁটতে। তারমধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। খেলতে খেলতে বালতির জলে ডুবে মৃত্যু হল একরত্তির। ঘটনাটিক ঘটেছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার দক্ষিণ শহে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের অসাবধানতার কারণেই অকালে চলে যেত হল শিশুটিকে, এমনটাই মত স্থানীয়দের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত শিশুর নাম মোতালেফ হোসেন। বয়স ১৪ মাস। বাবা রবিউল হোসেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতে বারান্দায় খেলা করছিল মোতালেফ। সেখানেই রাখা ছিল জল ভর্তি বালতি। খেলতে খেলতে বালতিতে মুখ ঢুকিয়ে দেয় শিশুটি । বালতির মধ্যেই পড়ে যায়। অনেক পরে বাড়ির সদস্যদের নজরে এলে তড়িঘড়ি তাকে মালতিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত শিশুটিকে বলে ঘোষনা করে। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। ইতিমধ্যেই দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ ।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত শিশুটির কাকা বলেন, “বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। বালতিতে জল রাখা ছিল। তখনই জলে মুখ দিতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটির কান্নায় অন্যরা ছুটে এসে তাঁকে হাসপাসাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা”। কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত ৭ নম্বর গোবর্ধনপুর অঞ্চলের পদিমা গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক মন্ডলের এক মাত্র পুত্র সন্তান সৌরভ (২) এক পা দু পা করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ছিল। কিন্তু, সবার অলক্ষ্যে চলে যায় বাড়ির পাশে থাকা পুকুর পাড়ে। পড়ে যায় পুকুরে। সেখানেই জলে ঢুবে মৃত্যু হয়েছিল শিশুটির। অন্যদিকে গত বছর, মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার অন্তর্গত নন্দনপুর গ্ৰামে বাড়ির পাশে থাকা জলাধারে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল একই পরিবারের তিন শিশুর।