তৃণমূলের দুর্নীতি ও হিংসার মডেল বাংলাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: দীনেশ ত্রিবেদী
বিজেপি বিশ্বের এক নম্বর দল, মোদীর নেতৃত্বে ভরসা করেন মানুষ, তৃণমূলের সমালোচনা করে মন্তব্য দীনেশ ত্রিবেদীর
পশ্চিমবঙ্গ: রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদ পদ থেকে নাটকীয় ইস্তফা দেওয়ার এক সপ্তাহও কাটেনি। এর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্রভাবে নিশানা করলেন দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi)। তাঁর কথায়, তৃণমূলের ‘হিংসা ও দুর্নীতির মডেল’ আর কাজ করবে না। বাংলাকে তারা ‘অন্ধকার দিন’- এর দিকে নিয়ে যাবে।
বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদের মন্তব্য, আমরা বাংলার মনীষী ও আদর্শদের নিয়ে কথা বলি। কিন্তু তার বৈপরত্যই চোখে পড়ে বাংলায়। তৃণমূলের হিংসা ও দুর্নীতির মডেল বাংলাকে অন্ধকার দিনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মমতার সরকারকে নিশানা প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর।
Former Union minister Dinesh Trivedi says "corruption and violence model" of TMC will no longer work for it and take West Bengal back to "dark days"
— Press Trust of India (@PTI_News) February 17, 2021
তিনি যোগ করেন, ‘মানুষের প্রতিনিধি হিসেনে এসব দেখে না দেখার ভান করতে পারিনি। তাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছি।’ প্রসঙ্গত, সংসদ কক্ষে দাঁড়িয়ে তৃণমূলে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
১৯-এর লোকসভা ভোটে ঘাসফুলের টিকিটে লড়ে হেরে গেলেও পরে রাজ্যসভার সাংসদ হন দীনেশ। পিটিআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিযোগ, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজন। পাশাপাশি তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব বাংলার উদার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না বলেও মন্তব্য করছেন দীনেশ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার ভূয়সী প্রশংসা করে দীনেশ জানান মোদীর নেতৃত্বের উপর সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আস্থাশীল।
দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি, তৃণমূলের অন্দরে একাধিকবার এই ইস্যুগুলি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কিন্তু তাতে নাকি কোন ফল হয়নি। তাঁর কথায়, দলের রাশ এখন মমতার হাত থেকে ‘অন্য হাতে’ চলে গিয়েছে। যদিও এই হাত কার তা এই সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: রাজনীতি ছাড়তে চান চিরঞ্জিৎ, প্রতিক্রিয়া দিলেন ফিরহাদ
কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে দীনেশ জানান যে বিজেপি পৃথিবীর এক নম্বর দল। তাঁকে সেই দলে স্বাগত জানানোর জন্য কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে সময়ই বলবে বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা।