Sweets of Bengal: কেউ বলছেন তুলতুলে পাশবালিশ, কেউ নোড়া, কোথায় মিলছে ৩ কেজির পেল্লাই মিষ্টি?
Sweets of Bengal: চেহারা দেখে ক্রেতারা আবার এই মিষ্টির সব মিষ্টি মিষ্টি নামও দিয়েছেন। কেউ বলছেন নোড়া নয় ও তো পাশবালিশের মতো। তাই তাঁরা আবার বালিশ মিষ্টি বলেও ডাকছেন। কেউ আবার বলছেন এ তো নোড়া মিষ্টি।
কাটোয়া: দেখতে খানিকটা রান্না ঘরে থাকা শীল নোড়ার নোড়ার সাইজের। ওজনও কম নয়। এক্কেবারে তিন কেজি। এক মিষ্টির দামই আড়াইশো টাকা। দৈত্যকার এই মিষ্টিই কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামের বরডাঙ্গা মেলার এখন মূল আকর্ষক। নোড়ার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় গ্রাম বাংলায় এই পেল্লাই সাইজের মিষ্টি এখন নোড়া মিষ্টি নামেই খ্যাত। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। যার টানে দূর দূরান্ত থেকে মেলায় ছুটে আসছেন মেলায়।
তবে ক্রেতাদের পকেটর সামর্থ্য অনুযায়ী রয়েছে দুই কেজি, দেড় কেজি, এক কেজি বা ১০ থেকে ২০ টাকা দামেরও মিষ্টি। তবুও মেলায় আসা মানুষজনের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দৈত্যাকার তিন কেজির নোড়া মিষ্টির। যাদের সামর্থ্য আছে তারা এই পেল্লাই মিষ্টি কিনছেন। কেউ চোখের দেখা দেখতে ভিড় করছেন দোকানে। কেউ কেউ মোবাইল বন্দি করতে ব্যস্ত, তো কেউ মিষ্টির সঙ্গে নিচ্ছেন সেলফি। কিন্তু কী বলছে এই মিষ্টির ইতিহাস?
সূত্রের খবর, কাটোয়ার কৈথন গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী কাশীনাথ হাজরা এই মেলায় দোকান দেন। কয়েক বছর আগে কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই সাইজে বড় মিষ্টি তৈরি করেন। তা বিক্রিও হয়। এরপর থেকেই আরও বড় সাইজের মিষ্টির চাহিদা বাড়তে থাকে ক্রেতাদের মধ্যে। সেই চাহিদা মতোই কাশীনাথ হাজরা বানিয়ে ফেলেছিলেন তিন কেজির পেল্লাই মিষ্টি। তাই এখন মেলার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
ছানা দিয়েই বানানো হয় সমস্ত মিষ্টি। তবে বাংলার কয়েকটা জায়গায় এই দৈত্যাকারের মিষ্টি দেখতে পাওয়া পাওয়া যায়। তবে চেহারা দেখে ক্রেতারা আবার এই মিষ্টির সব মিষ্টি মিষ্টি নামও দিয়েছেন। কেউ বলছেন নোড়া নয় ও তো পাশবালিশের মতো। তাই তাঁরা আবার বালিশ মিষ্টি বলেও ডাকছেন। রসে ডোবানো থাকে বলে কেউ আবার বলেন রসরম্ভা।