চন্দননগরে চালু হচ্ছে ভাসমান রেস্তোরাঁ ‘জলশ্রী’

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে উন্নয়নকার্যে নেমেছে মমতা সরকার, তাতে জোর দেওয়া হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও। এই নতুন ভাসমান রেস্তোরাঁর নামকরণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চন্দননগরে চালু হচ্ছে ভাসমান রেস্তোরাঁ 'জলশ্রী'
নতুন রূপে সেজে উঠবে চন্দননগর। ছবি: সংগৃহীত।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 3:10 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: গঙ্গাবক্ষে ভাসতে ভাসতে ফ্রেঞ্চ ওয়াটারমেলন স্যালাড বা ডেনিশ পেস্ট্রিতে কামড় বসাতে চান? না না ফ্লোটেলের কথা হচ্ছে না। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নতুন পর্যটনকেন্দ্রে (tourist spot) পরিণত হতে চলেছে চন্দননগর (Chandannagar)। সেই প্রকল্পেরই অংশ ‘জলশ্রী'(Jalasree)।

একসময়ের ফরাসি উপনিবেশ দেখতে বিদেশি পর্যটকরা মাঝেমধ্যে ভিড় জমালেও রাজ্যবাসীর কাছে চন্দননগর পরিচিত জগদ্ধাত্রী পুজো ও তার আলোকসজ্জার জন্যই। গঙ্গার পাড়েই অবস্থিত এই শহরকে ঘিরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম ফ্লোটেলের ধাঁচেই তৈরি করবে ভাসমান ক্যাফেটেরিয়া কাম রেস্তোরাঁ (Floating Cafeteria cum restaurant)।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে উন্নয়নকার্যে নেমেছে মমতা সরকার, তাতে জোর দেওয়া হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও। এই নতুন ভাসমান রেস্তোরাঁর নামকরণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের নামের অনুকরণেই এর নাম রেখেছেন ‘জলশ্রী’।

পর্যটন দফতর এক আধিকারিক জানান,”হেরিটেজের মর্যাদাপ্রাপ্ত ‘দ্য ডেনমার্ক ট্যাভার্ন’-র অনুকরণেই এই ভাসমান রেস্তোরাঁতে নানা ফরাসি খাবার (French Cuisine) রাখা হবে। ফ্রেঞ্চ টোস্ট, চিজ স্যান্ডউইচের পাশাপাশি ওয়াটারমেলন সামার স্যালাড, চকলেট ফন্ড্যুও থাকবে মেনুতে। ফরাসি পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদেরও আকর্ষিত করতে নানা চমকের কথা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: আজ সপ্তমী, করোনা আবহে চন্দননগর মেতেছে জগদ্ধাত্রী বন্দনায়

তবে শুধু ভাসমান রেস্তোরাঁই নয়, ফরাসি স্থাপত্য সংরক্ষণেও জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পর্যটক টানার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen)। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্প যে ধাক্কা খেয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে আগামী মাস থেকেই জোরকদমে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পর্যটন শিল্পের প্রচার শুরু করা হবে বলেও জানানো হয় পর্যটন দফতরের তরফে। হস্তশিল্প মেলা, সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে লোকশিল্পকে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাকেও নিজেদের প্রচারের জন্য যুক্ত করা হবে।