Ghatal Hospital: টাকা না দিলে মিলছে না পরিষেবা, কাঠগড়়ায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল
Ghatal Hospital:হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দিতে হচ্ছে অর্থ। চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ঘাটালে।
ঘাটাল: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দিতে হচ্ছে অর্থ। অভিযোগ চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দেরর। যার জেরে প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের (Ghatal subdivision hospital) চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে। অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্যাথেটার পরানো এবং খোলা সহ অন্যান্য পরিষেবা পেতে নিতে হচ্ছে আয়াদের। কিন্তু, পরিষেবার বিনিময়ে একশো থেকে দেড়শো টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। এদিকে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিষেবা কর্মরত নার্সিং কর্মীদের দেওয়ার কথা, কিন্তু নার্সিং কর্মীরা এই পরিষেবা না দিয়ে আয়াদের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলছেন। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে আয়াদের কাছে পকেটের টাকা খরচ করে এই পরিষেবা নিতে হচ্ছে চিকিৎসাধীন রোগীদের।
নার্সদের কাজ আয়াদের কাঁধে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত এক আয়া বলেন, “ইয়ার্কি করার জায়গা পাননি। পেচ্ছাবের নল খুলবেন নার্সেরা?”। এই বলেই ক্যামেরার সামনে থেকে ছুটে পালিয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বলেন, “আমি সবেমাত্র সুপারের দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি আপনাদের কাছে শুনলাম। খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি”। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় রাজু পাড়ুই বলেন, “আমরা কী করব! আমাদের নার্সরা বলেছেন ১০০ টাকা করে দিতে। না দিলে পরিষেবা মিলবে না”।
এই হালপাতালেই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন রঘুনাথপুরের সুনীল বেড়ার মা। তিনিও পড়েছেন একই সমস্যায়। তাঁদের থেকে ক্যাথেটার লাগানোর জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে সুনীল বাবু বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। টাকা থাকলে তো নার্সিংহোমে যেতাম। এত টাকা কীভাবে দেব তা বলার পরেও আমাদের কথা শোনা হয়নি। একশো টাকা দিতে গেলে নিতে চায়নি। এমনকী চোখ রাঙিয়ে কথাও বলেন আমাদের সঙ্গে। শেষে আমরা ২০০ টাকা দিতে বাধ্য হই। আজ আবার খোলার জন্য ৫০ টাকা নেন”। এদিকে সরকারি হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যেই পাওয়ার কথা। সেখানে কীভাবে চাওয়া হচ্ছে টাকা? এই প্রশ্নেই অস্বস্তি বেড়েছে প্রশাসনের।