BJP: ‘ভোটের পর পাত্তাই নেই নেতাদের’, রাগে গেরুয়া থেকে ঘাসফুলে যোগদান শতাধিক বিজেপি কর্মীর
Jalpaiguri: শনিবার রাত্রিবেলা ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ঝাড় আলতাগ্ৰামে যোগদান সভা হয়। সেই সভায় প্রায় ৪০টি বিজেপি পরিবারের সদস্যদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেয় ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল রঞ্জন সরকার।
জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে অব্যাহত গেরুয়া শিবিরের ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে শতাধিক মানুষের যোগদান তৃণমূলে। বিজেপির প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কিছুদিন আগেই এসেছিলেন রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে এসে তিনি বার্তা দেন বিজেপি নেতা-কর্মীদের ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু তিনি যেতে না যেতেই এত সংখ্যক মানুষের একসঙ্গে যোগদান তৃণমূলে যা রাজনৈতিক জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে।
শনিবার রাত্রিবেলা ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ঝাড় আলতাগ্ৰামে যোগদান সভা হয়। সেই সভায় প্রায় ৪০টি বিজেপি পরিবারের সদস্যদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেয় ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল রঞ্জন সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক রাজেশ সিং, ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মলয় কুমার রায়, ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিনেশ মজুমদার, অঞ্চল সভাপতি তক্ষমোহন রায়, স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান নারায়ণ রায় সহ অনেকে।
যোগদানকারীরা বলেন, ‘এখানকার সাংসদ ও বিধায়ক বিজেপির। কিন্তু তাঁদের জেতার পর আর দেখা পাওয়া যায় না। তাহলে তাঁরা কীভাবে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন করবেন? অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প করেই চলেছেন। তাই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।’
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আজ চল্লিশটি পরিবার, আনুমানিক সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৪০০, তারা আজকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন।এরা অনেকদিন ধরেই বিজেপি করত। বিজেপি দলের নিয়মনীতি, এবং তখন যারা নেতানেত্রী সেই দল থেকে দাঁড়িয়েছিল তারা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বলা হয়েছিল এলাকার অনেক উন্নয়ন করবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
বস্তুত, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দল বদল অব্যাহত দক্ষিণবঙ্গেও। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সংসদীয় জেলাতে ৬৯ জন জেলা কমিটির মধ্যে ১৫ জন জেলা কমিটির মেম্বার যারা ইতিমধ্যেই নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, এরকম আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসছে যাঁরা পদত্যাগ করতে পারেন।