Students worship Mothers : ‘তুঝে সব হ্যায় পাতা মেরি…’, স্কুলে ‘মা পুজো’ পড়ুয়াদের

Students worship Mothers : মায়েদের পায়েস খাইয়ে দেয় সন্তানরা। তারপর সন্তানদের পায়েস খাইয়ে দেন মায়েরা। এভাবেই বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা তাদের মায়েদের শ্রদ্ধা জানাল।

Students worship Mothers : 'তুঝে সব হ্যায় পাতা মেরি...', স্কুলে 'মা পুজো' পড়ুয়াদের
মায়েদের পায়েস খাইয়ে দিল সন্তানরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 6:30 PM

জলপাইগুড়ি : ছোটবেলায় মায়ের আঙুল ধরে হাঁটতে শেখা। ঘুম পেলে মায়ের কোল। মায়ের আঁচলের তলায় নিশ্চিন্ত আশ্রয়। সন্তানদের কাছে মা সব অর্থেই ‘তুঝে সব হ্যায় পাতা মেরি মা’। কিন্তু, বুড়ো বয়সে সেই সন্তানদের কাছে মায়েদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। নিউক্লিয়াস পরিবারে বুড়ো মা-বাবার স্থান হচ্ছে না! বড় হয়েও সন্তানরা যাতে বাবা-মার প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল থাকে, সেই ভাবনা থেকে জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে পালিত হল ‘মা পুজো’ (Students worship Mothers)। স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা।

রাত পোহালেই আন্তর্জাতিক মা দিবস। তার আগে মা পূজার আয়োজন করা হয় ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়া স্বর্ণময়ী বটতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জলপাইগুড়ি জেলায় এই প্রথম এই মা দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিদ্যালয়ে দেখা গেল চেয়ারে সারিবদ্ধভাবে বসে রয়েছেন মায়েরা। আর সন্তানরা মায়েদের পা ধুইয়ে মুছে দিল। এরপর পড়ুয়াদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয় বসাক। সেই শপথ করল সবাই। একসঙ্গে বলে উঠল, “আমি সারাজীবন মা- বাবাকে ভালবাসব। তাদের দেখাশোনা করব।” এরপর মায়েদের পায়েস খাইয়ে দেয় সন্তানরা। তারপর সন্তানদের পায়েস খাইয়ে দেন মায়েরা। এভাবেই বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা একে একে তাদের মায়েদের শ্রদ্ধা জানাল।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয় বসাক বলেন, “আমি একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম যে ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। ইন্দোনেশিয়াতে কোনও বৃদ্ধাশ্রম নেই। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমাদের বিদ্যালয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান করব। এরপর প্রতি বছর আমরা এই ধরনের অনুষ্ঠান করব।”

mother's day

ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়া স্বর্ণময়ী বটতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা পুজো

ছোট ছোট সন্তানদের কাছে এরকম সেবা পেয়ে আবেগে ভাসছেন সৌমিতা বর্মণ, শ্যামলী বর্মণরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক যখন তাঁদের মা পুজোর কথা বলেছিলেন, বুঝতে পারেননি। আজ স্কুলে এসে প্রথমে অবাক হয়েছিলেন। চেয়ারে বসার সময়ও কিছুটা অস্বস্তি হচ্ছিল। কিন্তু, সন্তানরা যখন পা ধুইয়ে দিচ্ছিল, তখন তাদের দিকে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে সেই অস্বস্তি কেটে গেল। যেন সব পেয়েছির দেশে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। এরপর সন্তানদের হাত থেকে পায়েস খেলেন হাসিমুখে। খাইয়েও দিলেন আদর করে।

‘মা পুজো’ শেষেও যেন তার রেশ কাটছিল না। তখনও বিহ্বল মায়েরা। আনন্দে চোখের কোণ চিকচিক করছে। আর সন্তানরা মিষ্টি হেসে মায়েদের যেন বলল, ‘তুঝে সব হ্যায় পাতা মেরি মা’।