Illegal Construction: ইচ্ছামতো ফ্ল্যাট তুলছে প্রোমোটার, ৭ দিন সময় দিল পুরসভা
Baidyabati Municipality: বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই তাঁরা ইঞ্জিনিয়র পাঠান। প্ল্যানবহির্ভূত নির্মাণ হয়েছে। যে অংশে বেনিয়ম হয়েছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য সাতদিন সময়ও দেওয়া হয়েছে ওই প্রোমোটারকে। এই সময়ের মধ্যে কাজ না হলে আইনের পথে হাঁটবে পুরসভা।
হুগলি: বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিস ধরাল পুরকর্তৃপক্ষ। যদিও যিনি প্রোমোটার, তাঁর দাবি কোথাও বেআইনি কিছু হয়নি। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে নিবেদিতা পল্লি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে বেআইনিভাবে এই আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম।
জি-প্লাস ফোরের প্ল্যান পাশ করিয়ে জি-প্লাস ফাইভ আবাসন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এলাকার ক্লাব সেক্রেটারি সন্তোষ গুপ্তের কথায়, “ছাদের উপর যে শেড করা হয় সেটা ভেঙে ঝুলছিল। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আর ফ্ল্যাট তৈরিতে নিয়ম মানা হয়নি। যে পরিমাণ ছাড় সামনে পিছনে দেওয়া দরকার, তা দেওয়া হয়নি। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদক্ষেপ করা হোক। পুরসভায় আমরা তা জানিয়েছি।”
এলাকার বাসিন্দা স্বরূপ ঘোষের অভিযোগ, “আমরা বলেছিলাম ছাদের উপরে একটা অংশ ভেঙে ঝুলছে। একজন আহত হন। পুরসভাকে জানানোর পর সেটা ভাঙেও। কিন্তু বড় কথা হল ফ্ল্যাটটা একেবারে বেআইনিভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যেমন খুশি ফ্ল্যাটটা বানাচ্ছেন। নিজেরাই ভিত খুঁড়ে ফ্ল্যাট করে ফেললেন। ব্যস্ততম রাস্তা এদিকে কাঠ বাঁশ লাগানো। ওনার কোনও হেলদোলই নেই। পুরসভা যত তাড়াতাড়ি পারে ব্যবস্থা নিক।”
আবাসনের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা প্রলয় মুখোপাধ্যায়,সন্তোষ গুপ্ত,স্বরূপ ঘোষদের অভিযোগ কোন নিয়ম না মেনেই এই আবাসন হচ্ছে।আবাসনের পাশের রয়েছে ক্লাব মন্দির সেখানে পাড়ার সবাই এসে বসে।একদিন আবাসনের ছাদের শেড ভেঙে ঝুলছিল একজন নির্মান কর্মি পরে গিয়ে আহত হয়।যে ভাবে নির্মান হচ্ছে যে কোনো সময় বিপদ হতে পারে।তাই পুরসভায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়।পুরসভা থেকে ইঞ্জিনিয়ার গিয়ে আবাসনটি মাপ জোক করেন।
বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই তাঁরা ইঞ্জিনিয়র পাঠান। প্ল্যানবহির্ভূত নির্মাণ হয়েছে। যে অংশে বেনিয়ম হয়েছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য সাতদিন সময়ও দেওয়া হয়েছে ওই প্রোমোটারকে। এই সময়ের মধ্যে কাজ না হলে আইনের পথে হাঁটবে পুরসভা। যদিও অভিযুক্ত প্রোমোটার বালকৃষ্ণণ সাউ বলেন, “আমি কোনও নোটিস পাইনি। আর বেআইনি কোনও নির্মাণও হয়নি। তবে পুরসভায় গিয়ে আমি আবার দেখব। প্ল্যান মেনেই আমি যা করার করেছি।”