Arambag Potato Cultivation: কাঁটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা! ফের বৃষ্টিতে আলু চাষিদের মাথায় হাত
Arambag Potato Cultivation: দূর্যোগ কাটলেও চরম বিপাকে কৃষকেরা। কাল বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, আলু-ধানের।
কলকাতা: কাঁটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ভোর থেকেই আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত। আবারও মাথায় হাত আলু চাষিদের। গত বৃষ্টিতেই মাঠের ওপর দিয়ে জলের স্রোত বয়ে গিয়েছিল। আবার মাঠ শুকোতে না শুকোতেই বৃষ্টি! আবারও শুরু হয়েছে ঝিরঝির বৃষ্টি। চিন্তায় আলুচাষিরা। ভোর থেকেই তাই চাদর মুড়ি দিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে খেতে চাষিরা। এমনই চিত্র গোঘাটে। যে সমস্ত আলু জমির মাটি শুকিয়েছিল, সেখানে গোড়ায় নতুন করে জল জমতে শুরু করেছে।
দূর্যোগ কাটলেও চরম বিপাকে কৃষকেরা। কাল বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, আলু-ধানের। নতুন করে আলু বুনতে গেলেও, এই রবি মরসুমে হাতে আর বেশি সময় নেই। কিন্তু আলু বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায়, সেখানেও কৃষকের আরেক সমস্যা। পাওয়া যাচ্ছে না সারও। চলছে কালোবাজারি, লাগছে বেশি দাম। এরকম একটা পরিস্থিতিতে কৃষকের ক্ষতিপূরণের দাবি তুলছে বিজেপি। তাদের আরও দাবি, বিনামূল্যে আলুবীজ দিতে হবে। বন্ধ করতে হবে সারের কালোবাজারি। রাজ্য সরকার আবার বলছে, বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্র, সারের জোগানের ব্যবস্থা ঠিকমতো করছে না। আসলে সমস্যা এজন্যই।
কৃষকের ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গে আবার কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে ফসল বিমার কথা। এই পরিস্থিতিতে বাংলার কৃষকেরা বলছেন, মুখে দরদ দেখালেও, আসলে কোনও সরকারই তাদের পাশে নেই। আলু চাষিদের বেশিরভাগই ধারদেনা করে, সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আলুর বীজ বপণ করেছিলেন। এদিকে এবার ডিসেম্বরেও যেভাবে বৃষ্টি হল তাতে ক্ষেতের পর ক্ষেতের ফসল ভাসিয়েছে। মাঠ থেকে জল নামতেই এবার দেখা যাচ্ছে বপণ করা সেই আলু বীজ সবই পচে গিয়েছে। একেবারে মাঠে মারা যাওয়া!
এখনও আলুর জমিতে কাদা মাটি। আলু চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কী করবেন তাঁরা? কী ভাবে অন্ন তুলে দেবেন পরিবারের মুখে। এলাকার আলু চাষিদের দাবি, সরকার তাঁদের আলু বীজ ও রাসায়নিক সার দিয়ে সহযোগিতা করুক। তাহলে তাঁরা নতুন করে আলু চাষ করতে পারবেন। এই সব দাবিদাওয়ার মাঝেই নতুন করে বৃষ্টিতে অশনী সঙ্কেত দেখছেন চাষিরা।
এক চাষি বললেন, “আবহাওয়ার এ কী খামখেয়ালিপনা! আমরা তো আর বাঁচতে পারব না। একে সার নিয়ে সমস্যা, তারপর আলু বুনতেই গোড়ায় জল! সরকার একটু দেখুক আমাদের।” তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার এই বৃষ্টি বেশিদিনের জন্য নয়। শুক্রবার থেকেই রোদের দেখা মিলবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আরও পড়ুন: Dakhisneshwar Kali Temple: ১ জানুয়ারি বন্ধ থাকছে দক্ষিণেশ্বর! কোভিড-কাঁটায় ভাটা কল্পতরু উৎসবে