Arambag: সেতু নেই, তাই খাল উজিয়ে ধান তুলতেও যাওয়া যাচ্ছে না, রাস্তায় নামলেন গ্রামবাসীরা
Arambag: একদিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, অন্যদিকে, দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির যাত্রীদের ক্ষোভে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।
হুগলি: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামে সেতুর দাবিতে পথ অবরোধ। পুলিশ পথ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রাস্তার অবস্থাও শোচনীয়। আর গ্রামের মাঝখান দিয়ে গেছে রামমোহন খাল। সেই খালে কোন সেতু নেই। বাঁশের সেতু ভেঙে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
ধান তোলা ও আলু বসানোর জন্য জমিতে যেতে হয়। অথচ সেতু ভাঙা। আর খালেও প্রচুর জল গভীরতাও অনেক। ফলে মাঠের ফসল মাঠেই পড়ে। ফসল ঘরে তোলা যাচ্ছে না। তাই সেতু ও রাস্তার দাবিতে গ্রামের গ্রামের বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। আরামবাগের চুনাইট এলাকায় মায়াপুর গড়েরঘাট রুটে অবরোধের জেরে যান জটের সৃষ্টি হয়।
একদিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, অন্যদিকে, দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির যাত্রীদের ক্ষোভে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও। পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে গ্রামবাংসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, “এলাকার রাস্তার অবস্থা, তা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। কিন্তু দুটো গ্রামের যোগাযোগের জন্য একটা সেতু আমাদের প্রয়োজন। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। প্রশাসনকে একাধিকবার বলা হয়েছে। আশ্বাসও মিলেছে বহুবার কাজের কাজ আর কিছুই হয়নি। মানুষ একদিন না একদিন তো ক্ষেপবেই।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “ভান্ডারহাটির পূর্ব দিকে একটা বাঁশের ব্রিজ রয়েছে। সেটা মেরামতি করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পঞ্চায়েত। কিন্তু মানুষ চাইছেন সেটা কংক্রিটের ব্রিজ করতে। কিন্তু পঞ্চায়েতের তরফে কি কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করা সম্ভব? এটা মানুষের বোঝা উচিত। “