Bappi Lahiri Death: এক সময় বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন বাপ্পি, তবে নির্বাচনের পরে আর ফেরেননি! কেন জানেন?

Bappi Lahiri: শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। আর সেই চমকের রেস চলেছিল গোটা নির্বাচন পর্ব জুরে।

Bappi Lahiri Death: এক সময় বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন বাপ্পি, তবে নির্বাচনের পরে আর ফেরেননি! কেন জানেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2022 | 6:54 PM

হুগলি: বিজেপির হয়ে এক সময় ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। হুড খোলা জিপে করতেন ভোট প্রচার, চলাফেরা করতে অসুবিধা হত সেই কারণে গাড়িতে ওঠা-নামার জন্য একটি ফোল্ডিং সিঁড়ি রাখতে হত। গোটা দিনের প্রচারের পর হোটেলে ফিরে পছন্দের খাবার ছিল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর কফি। রাত বারোটা-একটা পর্যন্ত মিটিং করতেন, ঘুমোতে যেতেন ভোর চারটে। পরিবার নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে চলত নানা রকমের আড্ডা। কখনো বিরক্ত হতে দেখা যায়নি বলিউডের বহু হিট গানের এই স্রষ্টাকে। মঙ্গলবার বাপি লাহিড়ির  প্রয়াণে এমনই স্মৃতি উঠে এল তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট সুবীর নাগের।

২০১৪ সালে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে বিজেপির হয়ে লোকসভার ভোটে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। আর সেই চমকের রেস চলেছিল গোটা নির্বাচন পর্ব জুড়ে। জানা যায়, একসময় নাকি মুম্বই থেকে বাপ্পি লাহিড়ি সপরিবারে উঠেছিলেন হোটেল হায়াতে। শ্রীরামপুর দিল্লি রোডের পাশে রয়্যাল হোটেল ছিল তাঁর অস্থায়ী অফিস। সুবীর নাগ ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ীর নির্বাচনী এজেন্ট।

এদিন তাঁর প্রয়াণে কী বললেন সুবীরবাবু?

‘প্রথম দিন উত্তরপাড়া কলেজের সামনে থেকে বাপ্পিদার র‍্যালি। একশো মিটার যেতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। সেই সময় বিজেপির খুব একটা শক্তি ছিল না। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার গড়েছে। তিন বছর পর লোকসভা ভোট। তখন তৃণমূল অনেক এগিয়ে। কিন্তু বাপ্পি লাহিড়ি ময়দানে নামতেই পাশা পাল্টাতে শুরু করে। যেখানেই বাপ্পিদা প্রচারে গিছেন সেখানেই কাতারে-কাতারে লোক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছে ফুল ছুঁড়েছে। আসলে বিজেপির সংগঠন বলে তখন কিছু ছিল না। শুধু বাপ্পি লাহিড়ির জন্য বিজেপি কঠিন লড়াই দিতে পেরেছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রায় তিন লাখ ভোট পেয়েছিলেন ডিস্কো কিং।’

সুবীরবাবু আরও বলেন, ‘যেদিন হুগলি এলেন সেদিন অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন বাপ্পিদা। মন্দিরে পুজো দেন। আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত কাগজপত্র তৈরি করে সই সাবুদ হয়। সেদিন আমার মাথায় হাত রেখে বলে ছিলেন যদি তাকে জেতাতে পারি তাহলে আমার আর কোনও অসুবিধা হবে না। আমাদের ব্যার্থতা এতবড় একজন শিল্পীকে আমরা সাংসদ করতে পারিনি। বাপ্পিদা বলেছিলেন এখানকার শিল্পীদের জন্য কিছু করবেন। শ্রীরামপুরে গঙ্গার পারে বাড়ি কিনে থাকবেন বলেও কথা চলছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর আর রাজনীতিতে তাঁকে দেখা যায়নি। আসলে তিনি ছিলেন অন্য জগতের মানুষ। সেই জগতে তিনি তারকা। পরেও কয়েক বছর তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল। ফোন করে খোঁজ নিতেন। ব্যস্ততার জন্য ফোন ধরতে না পারলে পরে আবার ঘুরিয়ে ফোন করতেন। এতটাই অমাইক ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি।’

আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Passed Away: সুরের জগতে ফের নক্ষত্রপতন, প্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ি