ত্রিপল নিয়ে বচসায় জড়ান বিডিএমও, কিছু বোঝার আগেই গালে এসে পড়ল চড়! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
Yaas Disaster Management: পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ স্বপন মন্ডল ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদার শ্রীমন্তবাবুর কাছে ত্রিপল চাইতে আসেন। শ্রীমন্তবাবু জানান, সবুজ দ্বীপ থেকে ত্রিপল দেবেন। অভিযোগ, স্বপনবাবুরা তখনই ত্রিপল নিয়ে যাওয়ার দাবি করেন।
হুগলি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে গেলেও তার তাণ্ডবচিহ্ন অব্যাহত। এখনও, জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে ত্রাণ সরবরাহের কাজ। এ বার, ত্রিপল বন্টন নিয়ে সরকারি আধিকারিককে (BDMO) মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বলাগড়ে।
শুক্রবার, সবুজ দ্বীপের পরিদর্শনে যান মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক ও বলাগড়ের ব্লক আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির ব্লক অফিসার (BDMO) শ্রীমন্ত দে-সহ অন্যান্য আধিরকারিকরা। সেইসময়, পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ স্বপন মন্ডল ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদার শ্রীমন্তবাবুর কাছে ত্রিপল চাইতে আসেন। শ্রীমন্তবাবু জানান, সবুজ দ্বীপ থেকে ফিরে ত্রিপল দেবেন। অভিযোগ, স্বপনবাবুরা তখনই ত্রিপল নিয়ে যাওয়ার দাবি করেন। কিন্তু, শ্রীমন্তবাবু তখনই দিতে চাননি। পরিদর্শন সেরে আসার পর এই নিয়ে দুইপক্ষে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শ্রীমন্তবাবুর উপর চড়াও হন স্বপনবাবু বলে অভিযোগ। আচমকা, শ্রীমন্তবাবুকে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, প্রতিবাদ করলে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদার বলাগড়ে বিডিও-কে ঢুকতে দেবেন না বলেও অভিযোগ করেন। অশ্রাব্য গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ আক্রান্ত আধিকারিকের।
ঘটনায়, শনিবার বলাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ব্লক আধিকারিক অফিসার (BDO) নীলাদ্রি সরকার। সরকারি আধিকারিকের গায়ে হাত তোলার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায়, তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “মারধরের ঘটনাটির খবর পেয়েছি। কে বা কারা এতে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন আইনের পথেই চলবে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।”
যদিও, পাল্টা হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের তো সবেতেই কাটমানি দরকার। কাটমানি পায়নি। তাই এসব করেছে। খেলা হবে বলেছিল। খেলাই দেখাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে বলাগড় ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিকের ঘরে ঢু্কে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই আধিকারিক। তবে অভিযুক্তরা সকলেই জামিন পেয়ে যান।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ‘স্বেচ্ছায়’ ৩১৫ টাকা দিলে তবেই মিলছে টিকা!