Chandannagar Municipal Election: খোঁচা খোঁচা ইঁট যেন তাকিয়ে রয়েছে! যানজটে বিধ্বস্ত চন্দননগরের ‘বাইপাস’ এখনও কাচাই…
Hooghly: এলাকার মানুষ চাইছেন যত দ্রুত হোক এই রাস্তাটিকে পাকা রাস্তায় পরিণত করা হোক। প্রতিবার ভোট এলে নেতারা আসেন,তবে কোনও সময় কিছু কাজ হয়না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর
হুগলি: শাসক দল বলছে চারিদিকে উন্নয়নের জোয়ার। কিন্তু তার মাঝেই এক বিপরীত চিত্র চন্দননগরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে। চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকায় জগদ্ধাত্রী মণ্ডপের ঠিক পেছনে একটি রাস্তা এখনো কাঁচা থেকে গিয়েছে। গঞ্জ ঘাট এবং ধানকল ঘাটের মাঝখানে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা আশ্চর্যজনকভাবে আজকের যুগে দাঁড়িয়েও কাঁচা রয়ে গিয়েছে। আশেপাশের সব রাস্তা পিচের হলেও ওই রাস্তাটিতে এখনও খোঁচা খোঁচা ইট যেন তাকিয়ে রয়েছে।
এদিকে, অফিস টাইমে জিটি রোডের যানজট এড়াতে অনেকেই বাইপাস হিসেবে এই রাস্তাটিকে ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাম নেতা গোপাল শুক্লা বলেন, “এই রাস্তাটির নিয়ে ড্রাফ্ট অফ ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট বা ডিপিপি-ও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে এই রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে, এই দাবি করে তৃণমূল।”
এলাকার মানুষ চাইছেন যত দ্রুত হোক এই রাস্তাটিকে পাকা রাস্তায় পরিণত করা হোক। প্রতিবার ভোট এলে নেতারা আসেন,তবে কোনও সময় কিছু কাজ হয়না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। চন্দননগর শহর তৃণমূল সভাপতি মুন্না আগরওয়াল বলেন, “শহরের মধ্যে ৫৬৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে ৯৭% রাস্তা হয়ে গিয়েছে, বাকি তিন শতাংশ বাকি। যেটা পুর বোর্ডের কাছে কোন ব্যাপারই না। তবে বিধানসভার সময় ওই রাস্তা না হওয়া সত্ত্বেও কেন প্রচার করা হল, তা আমি জানি না।”
উল্লেখ্য, চন্দননগর পুরনিগমে মোট ৩৩টা ওয়ার্ড রয়েছে । ২০১৫ সালে এই ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে যায় ২৩টি ওয়ার্ড । সিপিএম জয়ী হয় ৯টি আসনে । পদ্ম শিবিরের ভাগ্যে শিকে ছেড়ে ১টি আসন ৷ ২৩টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়ে তৃণমূল পুরবোর্ড গঠন করে । মেয়র হন রাম চক্রবর্তী । কিন্তু বছর না যেতেই রাম চক্রবর্তীকে নিয়ে দলীয় কাউন্সিলরদের মধ্যেই ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে ৷ অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণকে প্রশয় দিচ্ছেন মেয়র ।
ক্ষোভের আঁচ চরমে পৌঁছলে তিন বছর পর পুরপারিষদের বৈঠক হয়। সেখানেই রাম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তৎকালীন ডেপুটি মেয়র জয়ন্ত দাস, জয়দেব সিং, অজয় ঘোষ-সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা । পুরনাগরিকদের পরিষেবা দিতে ব্যর্থ এই অভিযোগে ভেঙে দেওয়া হয় পুরবোর্ড।
পুরপরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে তখন পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডুকে ৬ মাসের জন্য বোর্ড প্রশাসক করা হয় । ৬ মাস কাটলে প্রশাসকমণ্ডলীতে আরও পাঁচজনকে মনোনীত করা হয় । রাম চক্রবর্তীকে করা হয় চেয়ারম্যান । এছাড়া প্রশাসকমণ্ডলীর মধ্যে রাখা হয় বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, মুন্না আগরওয়াল, অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পীযূষ বিশ্বাসকে । বাকি কাউন্সিলকদের পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা নাগরিক পরিষেবা দিতে পারছিলেন না । বিধানসভা নির্বাচনের পর ইন্দ্রনীল সেন বোর্ড থেকে সরে যান । প্রায় তিন বছর ধরে নির্বাচিত নয় এমন কয়েকজনকে নিয়ে পুরসভা চলছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীরই। তাই দ্রুত নির্বাচন মিটুক এমনটাই চাইছেন চন্দননগরবাসী।