Municipality Election: মনোনয়ন জমা দিতে মহকুমা শাসকের অফিসের বাইরে ভিড় ঘাসফুল সমর্থকদের! কোথায় করোনাবিধি ?

Hooghly: পূর্বঘোষণা মতো আজ তৃণমূলের তেত্রিশ জন প্রার্থী নমিনেশন জমা দিতে আসেন মহকুমাশাসকের দফতরে। মিছিল না করলেও এদিন মহকুমা শাসককের দফতর চত্বর ছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দখলে।

Municipality Election: মনোনয়ন জমা দিতে মহকুমা শাসকের অফিসের বাইরে ভিড় ঘাসফুল সমর্থকদের! কোথায় করোনাবিধি ?
তৃণমূল কর্মী সমর্থদের ভিড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 6:48 PM

হুগলি: রাজ্যজুড়ে দাপট বাড়ছে করোনার। লাগাম ছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধিতে রাশ টানতে সরকারি তরফ একগুচ্ছে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বারবার মাস্কের ব্যবহার ও জমায়েত এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে যারা সচেতন করতে পথে নেমেছেন তাঁরা নিজেরা আদৌ সচেতন তো? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠেই গেল। সামনেই পুরো ভোট। এবার রীতিমত ভিড় করেই মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন শাসক দলের প্রার্থী। এবার প্রশ্ন উঠছে করোনার বিধিনিষেধ কি শুধু খাতা কলমেই?

গত শুক্রবার ঠিক একই কাজ করেছিলেন চন্দননগরের সংযুক্ত নাগরিক কমিটি তথা বাম এবং বিজেপি। মনোনয়ন জমা দিতে কাতারে-কাতারে লোক নিয়ে হাজির হন। সেই দেখানো পথেই হাঁটল শাসকদল। তবে আজ তৃণমূল মিছিল না করলেও চিত্রর কিন্তু কোনও ব্যতিক্রম হয়নি।

পূর্বঘোষণা মতো আজ তৃণমূলের তেত্রিশ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে আসেন মহকুমাশাসকের দফতরে। মিছিল না করলেও এদিন মহকুমা শাসককের দফতর চত্বর ছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দখলে। যদিও, এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মেয়র তথা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাম চক্রবর্তীর বক্তব্য তাঁরা করোনার কারণেই কোনও লোক সঙ্গে করে নিয়ে আসেননি। তবে অতি উৎসাহী সর্মথকরা যদি নিজেরা চলে আসে তাহলে তাঁদের কিছুব করার নেই। তিনি বলেন, “আমাদের দলীয় নির্দেশ রয়েছে। তাই আমার কোনও মিছিল বা মিটিং করে লোক নিয়ে আসিনি। তাহলে এখানে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। শুধু আমরা দুজন ভিতরে যাব। এবার বাইরে যারা আছেন তারা অতি উৎসাহী জনগণ। নিজেরা চলে এলে আমারা কী করব? আর যদি কেউ এসেও থাকেন তাঁরা ঠিক করেননি।”

সাধারণ মানুষের কাছে প্রভাব দেখাতে রাজনৈতিক দলগুলির জুড়ি মেলে না। আজকের এই জমায়েত আরও একবার প্রমাণ করল। উল্লেখ্য, বিধিনিষেধের মধ্যে পুরভোটের প্রচার কীভাবে হবে? নির্বাচন কমিশনের ওপর বিষয়টি ছাড়ছে রাজ্য সরকার। করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। কোনও সভায় দুশো জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।

২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর আসানসোল ও চন্দননগর পুরসভায় ভোট। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোটের প্রচার চলবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রচার সভা, মিছিলে কীভাবে দূরত্ব বিধি মানা সম্ভব, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বাড়ছে ভোটের উত্তাপ। তবে চার কর্পোরেশনের ভোট প্রচারেই দেখা যাচ্ছে কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগ।

কোথাও মাস্ক ছাড়াই প্রচারে বেরিয়েছেন প্রার্থী। যালিতে দূরত্ব বিধি শিঁকেয় উঠেছে। কর্মীদেরও অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। শিলিগুড়ি, আসানসোল-সর্বত্রই একই ছবি দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Covid 19 SOP for Rail: মাস্কবিহীন যাত্রী ধরার জন্য বিশেষ অভিযান, ৫০ শতাংশ যাত্রীর হিসেব কী ভাবে মেলাচ্ছে রেল?