Passenger Death: ভিড়ে ঢুকতে পারেননি ট্রেনের ভিতরে, প্ল্যাটফর্ম ছাড়তেই লাইনে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর
Dankuni: শ্যালকের মেয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখতে এসেছিলেন।
ডানকুনি: পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার কথা লোকাল ট্রেন। বিধিনিষেধে অন্তত তেমনটাই বলা হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি তা মেনে চলা হচ্ছে? মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল আজ। ভিড় ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল যাত্রীর। প্রথমে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
আজ ডানকুনি থেকে খরগপুর যাওয়ার পথে ডানকুনি ও বেলানগরের মাঝে ট্রেন থেকে পড়ে যান ওই যাত্রী। তার নাম চন্দন প্রচন্ড (৫৫)। বাড়ি মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন। জানা গিয়েছে ডানকুনিতে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। এরপর আজ সকালে বাড়ি ফেরার জন্য ডানকুনি থেকে ট্রেন ধরেন চন্দন বাবু।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে ট্রেন এলে তাতে উঠে পরেন। প্রচন্ড ভীর থাকায় ট্রেনের দরজাতেই ঝুলতে ঝুলতে থাকেন। এবার কিছুটা যেতেই ধাক্কা লেগে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যান তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে জিআরপির সাহায্যে সহ যাত্রীরা প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কলকাতা আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার উত্তরপাড়া হাসপাতালেই ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
মৃত যাত্রীর আত্মীয় ঝাড়খন্ড চাকুলিয়ার বাসিন্দা জগৎ চৌধুরী বলেন, ” চন্দনবাবু সম্পর্কে আমার জামাইবাবু। আমার মেয়ের জন্য ছেলে দেখতে এসেছিলেন। তিনটে ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। পরের ট্রেনটা আসার পরই ঠেলেঠুলে উঠি আমার। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে পারিনি। এবার ট্রেন ছাড়তেই কোনও ভাবে পিছলে পড়ে যান জামাইবাবু। মাথায় চোট পান। উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হলে আরজিকরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই সব শেষ।”
প্রসঙ্গত, করোনা বিধি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ নিয়ে রাজ্যের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। সাধারণ মানুষেরও একই বক্তব্য, ৭টায় ট্রেন হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ স্টেশন ছেড়ে গেলে এরপর অফিস ফেরত মানুষের কী হবে। যাত্রীদের ভোগান্তি রুখতে রাতারাতি নির্দেশিকা বদল করল নবান্ন। জানিয়ে দিল, সন্ধ্যা সাতটা নয়, লোকাল ট্রেন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। অর্থাৎ শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে শেষ ট্রেন রাত ১০টায় ছাড়া হবে।
কী কারণে এই সময়ের পরিবর্তন তা নিয়ে নবান্নের তরফে এখনও কিছু জানা না গেলেও, এ কথা ঠিক রবিবার মুখ্যসচিব কোভিডের নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে সর্বাপেক্ষা আলোচ্য হয়ে ওঠে শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়ার সময়সীমা। মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। নিত্যযাত্রীরা বহু দূর থেকে আসেন। বহু মানুষ আছেন, যাঁরা প্রত্যন্ত জেলা থেকেও কলকাতায় নিয়মিত কাজ করতে আসেন।