Chandannagar Municipal Election: তৃতীয়বারের জন্য চন্দননগরের দায়িত্ব রাম চক্রবর্তীর হাতেই রাখলেন মমতা
Chandannagar Election: ১৯৯৫ সালে প্রথম কংগ্রেসের হয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন রাম চক্রবর্তী।
হুগলি: তৃতীয়বারের জন্য চন্দননগর পুরনিগমের ( Chandannagar Municipal Election) ব্যাটন হাতে পেলেন রাম চক্রবর্তী। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনিই চন্দননগরের মেয়র। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হয় চন্দননগর পুরনিগমে। ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হয়। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী গোকুল পালের মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত রাখা হয়। ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। রাম চক্রবর্তী ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৮১০ ভোটে জয়ী হন। শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠক ছিল তৃণমূলের। ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম চার পুরনিগমের মেয়রের নাম ঘোষণা করেন। চন্দননগরে নাম ঘোষণা করা হয় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তীর।
১৯৯৫ সালে প্রথম কংগ্রেসের হয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন রাম চক্রবর্তী। ২০০০ সালে তৃণমূলের কাউন্সিলর হন। ২০০৫ সালে জিতে বিরোধী দলনেতা হন পুরনিগমের। ২০০৬ সালে চন্দননগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলে প্রার্থী ছিলেন তিনি। প্রায় ১৭ হাজার ভোটে সিপিআইএমের শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন। ২০১০ সালে প্রথম চন্দননগরের মেয়র হন। পরেরবার অর্থাৎ ২০১৫ সালেও মেয়র হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন।
তবে দলীয় কোন্দলে ২০১৮ সালের পুরনিগমের বোর্ড ভেঙে দেয় নবান্ন। পুরপ্রশাসক নিয়োগ করে পুরনিগম চলতে থাকে। আবারও ২০২২-এ মেয়র হলেন তিনিই। রাম চক্রবর্তী বলেন, “পুরনিগমে জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক করেছি। ধন্যবাদ দলনেত্রীকে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। নাগরিক পরিষেবার দিকে নজর দেওয়া হবে প্রথম কাজ।”
গত ১২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগরে পুরনির্বাচন হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় চার পুরনিগমেই ঘাসফুলের জয়জয়কার। এরপরই শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র হিসাবে গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাকি তিন পুরনিগম নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। শুক্রবার ছিল তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। আর সেই বৈঠকের পরই তিন নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা করেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
রাম চক্রবর্তীর কথায়, “চন্দননগরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে গত দশ এগারো বছরে। উড়ালপুল থেকে জল প্রকল্প, নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যও অনেক বেড়েছে। শহরকে আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা চন্দননগরবাসী পাচ্ছেন। আমাদের কাজ হবে সেই পরিষেবা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেটা দেখা।” এদিন রাম চক্রবর্তীর নাম মেয়র হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর খুশির হাওয়া চন্দননগরে। মিষ্টিমুখ দিয়েই চলল উদযাপন।
আরও পড়ুন: Asha Workers Agitation: ‘কোনও প্রতিশ্রুতিই তো রাখল না সরকার!’ ধর্মতলায় আজ বেগুনি মিছিল