Kamarpukur: কামারপুকুরে কলেজে সংঘর্ষ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বলছে ‘বহিরাগত হামলা’
Hooghly: কলেজের ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৃণমূলের শামির মল্লিক বলেন, "বাইরে থেকে ছেলে এসে এসব করেছে। আমাদের ছেলেদেরই মেরেছে। ওদের মেডিক্যালের জন্য পাঠানো হয়েছে।" তৃণমূলেরই আরেক ছাত্রনেতার বক্তব্য, "আপনারা যাঁকে বলছেন তিনি কলেজের ছাত্র নন। কী করে কী হয়েছে সেটাও আমরা জানি না।"
আরামবাগ: কলেজের সামনে পড়ে রয়েছে ইটের ঢ্যালা, লাঠি, কাঠ। কিছুক্ষণ আগেও সেখানে ছাত্র সংঘর্ষে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল কামারপুকুরের শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যামহাপীঠ (ডিগ্রি কলেজ)। অভিযোগ, শনিবার কলেজে একটি সেমিনার চলছিল। সেই সময় বাইরে থেকে একদল যুবক এসে হামলা করে বলে অভিযোগ। গোঘাটের কামারপুকুর সরগরম এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তবে বহিরাগত তত্ত্বের পাশাপাশি আরও দু’টি অভিযোগ সামনে আসছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে। আবার একাংশের দাবি, কলেজে ‘পাড়ায় সমাধান’ চলছে। সেখানে আর বহিরাগত আটকানো যাবে কী করে?
এদিনের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতি হয় যে ভয়ে আতঙ্কে কলেজের সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল হয় গোঘাট থানার বিরাট পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শামির মল্লিক বলেন, “বাইরে থেকে ছেলে এসে এসব করেছে। আমাদের ছেলেদেরই মেরেছে। ওদের মেডিক্যালের জন্য পাঠানো হয়েছে।” তৃণমূলেরই আরেক ছাত্রনেতার বক্তব্য, “আপনারা যাঁকে বলছেন তিনি কলেজের ছাত্র নন। কী করে কী হয়েছে সেটাও আমরা জানি না। আজ কলেজে একটা সেমিনার চলছিল। হঠাৎ একদল বহিরাগত আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে। যাঁরা করেছে তাঁরা দিনেরবেলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কথা বলে, রাত হলেই বিজেপির সঙ্গে এক চাটাইয়ে বসে যায়।”
এদিনের ঝামেলা প্রসঙ্গে শিবশঙ্কর পালিত নামে কামারপুকুরের এক বাসিন্দা বলেন, “কলেজে পাড়ার সমাধান ক্যাম্প চলছে। ফলে এলাকার মানুষ ক্যাম্পে যেতেই পারে। এখানে কাউকে বহিরাগত বলবেন কী করে?” এ নিয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের তত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ছাত্র-যুব-মাদার, সকলেই গোষ্ঠী করে মারপিটে ব্যস্ত। আরামবাগের মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে ছাড়ছে।”
সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অভয় ঘোষ বলেন, “কলেজের উন্নতি নিয়ে ওদের কোনও মাথাব্যথা নেই। ইউনিয়নের খালি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই।” তবে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, “এটা তৃণমূলের নয়। কিছু বিজেপির বহিরাগত কলেজ দখল করতে এসেছিল। যারা ওখানে পড়ে ওদের উপর একটা আক্রমণ হয়েছিল। প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।”