Minor physically assaulted: দুঃস্থ ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য রেখে জঘন্য কাজ অধ্যাপকদের, ছি ছি করছেন সবাই

Minor physically assaulted: এই মামলার সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরি করেছিলেন। স্থানীয় দুঃস্থ পরিবারের স্কুল ছাত্রীদের সেখানে রেখে পড়াতেন। নির্যাতিতা নাবালিকা ২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সেখানে যায়। কয়েকদিন পর থেকেই তার উপর যৌন নির্যাতন চলে।

Minor physically assaulted: দুঃস্থ ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য রেখে জঘন্য কাজ অধ্যাপকদের, ছি ছি করছেন সবাই
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2024 | 9:45 PM

শ্রীরামপুর: দুঃস্থ ছাত্রীদের পড়াবেন। তাদের থাকার ব্যবস্থাও করেছিলেন। কিন্তু, সেখানে এক নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনে দায়ে ২০ বছরের জেল হল এক অধ্যাপকের। বিচার পেয়ে খুশি নির্যাতিতা। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে তাঁর মক্কেলকে।

দোষীসাব্যস্ত অধ্যাপক শ্রীরামপুর কলেজে পড়ান। তিনি ওড়িশার বাসিন্দা। কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। সেখানেই নাবালিকা এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। ২০২২ সালের মার্চ মাসে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবলিকার পরিবার। অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দী থাকা অবস্থায় মামলার চার্জ গঠন করা হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুনানির পর গতকাল শ্রীরামপুর আদালতের প্রথম অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট পকসো কোর্টের বিচারক মনোজ কুমার রাই অভিযুক্তকে দোষীসাব্যস্ত করেন। শনিবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

এই মামলার সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরি করেছিলেন। স্থানীয় দুঃস্থ পরিবারের স্কুল ছাত্রীদের সেখানে রেখে পড়াতেন। নির্যাতিতা নাবালিকা ২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সেখানে যায়। কয়েকদিন পর থেকেই তার উপর যৌন নির্যাতন চলে।

আদালত ওই অধ্যাপককে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ষাট হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। নির্যাতিতাকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দেয় আদালত। সরকারি আইনজীবী বলেন, একজন শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে যা করেছে তা যেন আর কেউ না করতে পারে।

নির্যাতিতা এই রায়ে খুশি। তিনি বলেন, “এই দিনটার জন্য আড়াই বছর অপেক্ষা করেছি। অধ্যাপক আমার যে ক্ষতি করেছে আর যেন কারও না করতে পারে, তার জন্যই আমার লড়াই ছিল।”

অভিযুক্তের আইনজীবী অরুণ আগরওয়াল বলেন, “একটা মিথ্যা সাজানো মামলা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করব আমরা।”