Fraud Case: এবার কি দমকলেও? চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে

Fraud Case: নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য।  দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রী এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে। স্কুলের পর পুরসভাতেও চাকরিতে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছে।

Fraud Case: এবার কি দমকলেও? চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে
বা দিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 11:40 AM

হুগলি: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও ওই তৃণমূল নেত্রী নিজে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির খানাকুলে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেত্রীর নাম  জিয়ামুন্নেসা দরগাই। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি খানাকুল-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। ২০১৮ থেকে তিনি খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রয়েছেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী জিয়ামুন্নেসা দরগায়ীকে গত কয়েকদিন আগেই খানাকুলের রামমোহন ২ অঞ্চল তৃনমূলের সহ সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ, খানাকুলের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ব্রজমোহন আদকের ছেলের চাকরির জন্য তিনি পাঁচ লক্ষ আশি হাজার টাকা নিয়েছিলেন। প্রথমে ফায়ার ব্রিগেডে ও পরে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি-র চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। অভিযোগ,পরে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেও টাকা ফেরত দেননি। এই ঘটনায় ব্রজমোহনবাবু আরামবাগ এসডিপির কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন।

যদিও তৃণমূল নেত্রী জিয়ামুন্নেসা দরগাইয়ের  দাবি, তিনি কোনও টাকা নেননি। শুধুমাত্র যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন।  মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্তের বক্তব্য, “বছর ছয়েক আগে টাকা নিয়েছিলেন। তারপর থেকে চাকরি দেওয়ার নামে আমাকে ঘুরিয়েই যাচ্ছেন। ওর বাড়ি গিয়ে গিয়ে জুতো ছিড়েছে। টাকা ফেরত দিয়ে দেবেও বলেছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরত দেননি। দমকলে চাকরি করে দেব বলেছিলেন। তারপর ঘোরায়। শেষে বলে স্বাস্থ্য দফতরে গ্রুপ ডি-তে চাকরি করে দেবে। কিন্তু কোথায় কী! টাকাটা যেন ফেরত পাই, এটাই চাই শুধু।”

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, “আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। ছেলেটার বাবা আমার কাছে এসেছিল। ওঁ বলেছিলেন, যাতে কোনও চাকরির ব্যবস্থা করে দিই। আমি একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলাম। তারপর কী করেছে ওরা, কী টাকা পয়সা দিয়েছে, সেটা ওঁরাই জানে। আমার সঙ্গে কিন্তু কোনও লেনদেন হয়নি।”

পুড়শুড়ার বিধায়ক বলেন, “চাকরি দেওয়ার নাম করে কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলের নেতানেত্রীরা টাকা নিচ্ছেন। এখন ইডি-র স্ক্য়ানারে আসছে। আমার কাছে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে বিষয়টা আমরা দেখব।”

নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য।  দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রী এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে। স্কুলের পর পুরসভাতেও চাকরিতে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত দমকল বিভাগ ও স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি বিভাগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে ওই দফতরগুলিতেও চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তাও তদন্ত সাপেক্ষ।