Hooghly Fraud Case: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকেই আমানতের টাকা গায়েবের অভিযোগ, ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ

Hooghly Fraud Case: গ্রাহকদের অভিযোগ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাই হোন কিংবা সাধারণ এক জন আমানতকারী, তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে গেলে বলা হচ্ছে, বেসরকারি পরিচালনাধীন গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে যেতে।

Hooghly Fraud Case:  রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকেই আমানতের টাকা গায়েবের অভিযোগ, ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ
ব্যাঙ্কের শাখায় গ্রাহকদের বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2023 | 2:45 PM

হুগলি: ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেবেন কেউ, আবার কেউ নিজের গচ্ছিত টাকা তুলতেই ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফ থেকে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, টাকা তুলতে হলে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে যেতে। সেখান থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ সেখানে গিয়েও মিলছে না টাকা। অভিযোগ, গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে তারিখের পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। অথচ গ্রাহকদের টাকা এমনিই উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে এবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভেতর ঢুকে ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আমানতকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গোঘাটের হাজিপুর শাখায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে।

ঠিক কী ঘটেছে বিষয়টি?

গ্রাহকদের অভিযোগ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাই হোন কিংবা সাধারণ এক জন আমানতকারী, তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে গেলে বলা হচ্ছে, বেসরকারি পরিচালনাধীন গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে যেতে। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণগ্রহীতারাও টাকা তুলতে পারছেন না। যেতে হচ্ছে ব্যাঙ্কের পাশেই থাকা সিএসপি অর্থাৎ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে নিয়ে তাঁদের অন্য দিনে আসতে বলা হচ্ছে। অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকের টাকা ডেবিটও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সিএসপি সেন্টার এলাকার মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অভিযোগ।

গত কয়েকদিন ধরেই সিএসপি সেন্টার ও ব্যাঙ্কের হাজিপুর শাখায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার সকালে টাকা ফেরতের দাবিতে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গোঘাট থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বার করে দেয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই ওই সিএসপি সেন্টার টাকা ফেরতের আশ্বাস দিচ্ছিলেন তারপরে হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন থেকেই বন্ধ। সিএসপির ম্যানেজার ব্যাঙ্কে তদন্তে আসেন শুক্রবার। তিনিও বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

প্রশ্ন উঠেছে, এলাকায় ব্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও কেন সিএসপি সেন্টার থেকে টাকা তুলতে হবে আমানতকারিদের ? ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বক্তব্য, “যাঁরা টাকা পাচ্ছেন না, তাঁরা প্রত্যেকেই টাকা পাবেন। আমি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বলছি। টাকা সকলেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু এতদিন ধরে একটা সমস্যা চলছে, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।” অন্যদিকে, গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, “গ্রাহকদের টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হবে।”