Hooghly: একাদশীতে বুঁদ ছবি তোলার নেশায়! ট্রেনের ধাক্কায় থেঁতলে গেল যুবকের মাথা

Hooghly: ভদ্রেশ্বর কেবিনের কাছেই ফটোশ্যুট করেছিলেন তাঁরা। সে সময় উল্টো দিক থেকে একটা ট্রেন আসছিল। কিন্তু ছবি তোলাতে এতটাই বুঁদ ছিলেন তাঁরা ট্রেন আসার দিকে খেয়ালই করেননি।

Hooghly: একাদশীতে বুঁদ ছবি তোলার নেশায়! ট্রেনের ধাক্কায় থেঁতলে গেল যুবকের মাথা
ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2021 | 3:41 PM

হুগলি: পুজো শেষে ফটোশ্যুট! তাও আবার রেললাইনের ধারে। মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের। ট্রেনের ধাক্কায় এক্কেবারে ছিটকে পড়েন পাথরের ওপর। মাথা থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। একাদশীর সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বর কেবিনের কাছে। মৃতের নাম ধীরাজ প্যাটেল (১৬)।

ভদ্রেশ্বরেরই ঝুপরি এলাকায় থাকতেন ধীরাজ। একাদশীর সকালে বন্ধুরাই তাঁকে ডাকতে আসেন। রেললাইনের ধারে ফটোশ্যুট করার ইচ্ছা ছিল তাঁদের। তিন বন্ধু একসঙ্গে যান রেললাইনের ধারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এক যুবকের ছবি তুলছিলেন অপর জন। তাঁকে ছবি তোলাতে সাহায্য করছিলেন ধীরাজ। কীভাবে দাঁড়ালে ছবি ভাল আসে, তা বলে দিচ্ছিলেন।

ভদ্রেশ্বর কেবিনের কাছেই ফটোশ্যুট করেছিলেন তাঁরা। সে সময় উল্টো দিক থেকে একটা ট্রেন আসছিল। কিন্তু ছবি তোলাতে এতটাই বুঁদ ছিলেন তাঁরা ট্রেন আসার দিকে খেয়ালই করেননি। ফলে মর্মান্তিক পরিণতি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দূর থেকে তাঁরা চিত্কার করেছিলেন, কিন্তু তা কানে পৌঁছয়নি তাঁদের।

ট্রেনে প্রথমে ধাক্কা মারে ধীরাজকেই। বাকিরা ততক্ষণে সরে যাওয়ার সময় পান। ট্রেনের ধাক্কায় ধীরাজ ছিটকে গিয়ে পড়েন পাথরের ওপর। মাথার ডান দিকে গুরুতর চোট লাগে ধীরাজে। কার্যত থেঁতলে যায় সেই অংশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

খবর পেয়ে শেওড়াফুলি জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দেহের ময়না তদন্ত করা হবে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যেই তাঁরা ভিডিয়ো বানাতেন। সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে দিতেন। সেই ভিডিয়ো বানাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বন্ধুদের কাছ থেকে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে জিআরপি। ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “মাঝেমধ্যেই ছেলেগুলো এখানে আসত। আড্ডা মারত, ছবিও তুলত। আমরা অনেকেই বারণ করেছিলাম। এখানে এই ভাবে বসে গল্প করাটা রিস্ক। কখন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। আজকে অনেকেই দূর থেকে দেখছিল ওরা ছবি তুলছে। নানা পোজে ছবি তুলছিল। ট্রেন যখন কাছাকাছি চলে আসে, তখন কিন্তু হর্নও দেয়। কিন্তু ওরা ছবি তোলাতেই এতটা মশগুল ছিল, যে ওত জোরে হর্নের আওয়াজও কানে যায়নি। যাঁরা দূরে ছিল তাঁরা তো চিত্কার করছিলেনই। ধীরাজ একেবারেই পিছন দিক করে দাঁড়িয়েছিল। বাকিরা সরে যেতে পারলেও ধীরাজ পারেননি। ট্রেনের ধাক্কায় মাথাটাই সবচেয়ে বেশি চোট পেয়েছিল ওর।”

ধীরাজের বন্ধুরা কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে ছিল  না। ঘটনায় আকস্মিকতায় আর ভয়াবহতায় স্তম্ভিত তাঁরাও। মাঝেমধ্যেই বন্ধুরা ওখানে যেতেন। পুজোতেও একসঙ্গে কাটিয়েছেন ওঁরা। কিন্তু পুজো শেষেই যে এই মর্মান্তিক ঘটনা চোখের সামনে ঘটবে, তা ভাবতেও পারছেন না ওঁরা।  এই প্রতিবেদন যতক্ষণে লেখা হয়েছে, ততক্ষণে পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: Bomb Blast: বিজয়ার রাতেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল ‘অর্জুন গড়’!

আরও পড়ুন: Weather Update: পুজো শেষ মুখ ভার আকাশেরও! দশমীর রাত থেকেই শুরু খেলা, নিম্নচাপে লক্ষ্মীপুজোর আগে ভাসছে এই জেলাগুলি…