Hooghly Potato: পচন ধরেছে আলুতে, ওয়েল্ডিং করে হিমঘরের দরজাই সেঁটে দিলেন চাষিরা
Hooghly Potato: ক্ষতিপূরণ না পেয়ে রড দিয়ে ওয়েল্ডিং করে হিমঘরের গেট বন্ধ করে দিলেন ক্ষুদ্ধ চাষিরা।
হুগলি: হিমঘরে রাখা আলুতে পচন, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েও বেঁকে বসেছিল হিমঘর কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে এবার রড দিয়ে ওয়েল্ডিং করে হিমঘরের গেট বন্ধ করে দিলেন ক্ষুদ্ধ চাষিরা। ঘটনাটি ঘটেছে ধনিয়াখালির দশঘড়ার বলাকা হিমঘরে। কিছুদিন আগেই দফায় দফায় হিমঘরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার শ’পাঁচেক চাষি। বলাকা হিমঘরে রাখা আলু পচন ধরায় ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছিলেন চাষিরা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁরা বার বার বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন হিমঘর কর্তৃপক্ষ। চাষিদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিনে মেলেনি টাকা। তাঁদের আরও অভিযোগ. হিমঘরের কোন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই আলুতে পচন ধরেছিল। দফায় দফায় বিক্ষোভের পরে অবশেষে হিমঘর কর্তৃপক্ষ চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়, বস্তা পিছু ৫০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। সেই ক্ষতিপূরণের টাকা বৃহস্পতিবার থেকেই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাতে বেঁকে বসে হিমঘর কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার হিমঘর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সময়ের আগেই আলু বের করে নেওয়ার জন্য মাইকিং করে এলাকায় প্রচার চালায়। এর পরই ক্ষুদ্ধ চাষিরা হিমঘরের কর্মীদের বের করে দিয়ে, গেটে রড দিয়ে ওয়েল্ডিং করে হিমঘর বন্ধ করে দেন। যদিও হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলার সংশ্লিষ্ট দফতর আলু পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছে। তাতে হিমঘরের কোনও গাফিলতি নেই বলে উল্লেখ রয়েছে। চাষিরা হিমঘরে খারাপ আলু রাখার কারণের নষ্ট হয়েছে। যদিও চাষিদের দাবি. তাঁদের আলু অন্য হিমঘরেও রাখা আছে, অথচ সেখানে আলু নষ্ট হয়নি। শুধু মাত্র বলাকা হিমঘরে রাখা আলু নষ্ট হয়েছে, হিমঘর কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়ে এরকম রিপোর্ট তৈরি করেছে । চাষিদের দাবি ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত, হিমঘর বন্ধ করে রাখা হবে। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।