Hooghly: ‘ওথ’ কাড়ল সবার মন, বিশ্বের ১০১ দেশের কবিদের পিছনে ফেললেন হুগলির প্রিয়াঙ্কা

হুগলি: দেশ তথা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করলেন বাংলার মেয়ে। ইংরেজিতে কবিতা লিখে বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বঙ্গ তনয়া প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লেখা কবিতা ‘ওথ’ বিশ্বের ১০১ টি দেশের কবিদের পিছনে ফেলে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করেছে।

সম্প্রতি, ওমানের মাসকাটে আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন। মোটিভেশনাল স্ট্রিপস, আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় লেখক ফোরাম ‘বি আস্টার গ্লোবাল পোয়েট্রি চ্যাম্পিয়নশিপ-২৩’। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সারা বিশ্ব থেকে ১০১ টি দেশের কবিরা। সেখানেই বাকি সবাইকে ছাপিয়ে বাংলার তথা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতার দুই কবি প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কবি ইপ্সিতা গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন কবিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে কবিতা পরিবেশন বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন প্রিয়াঙ্কা।

হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা। তিনি পেশায় ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে ইংরেজি সাহিত্যের উপর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে আসছেন। ২০২০ সালে করোনার সময় প্রথম তাঁর শুরু হয় ইংরেজি ভাষায় কবিতা লেখা। সেই থেকেই একের পর এক লেখা লিখে চলেছেন তিনি। তাঁর লেখা কবিতার মধ্যে উঠে এসেছে কখনো সাম্রাজ্যবাদের কথা, কখনো উঠে এসেছে সমাজের নিপীড়িত শোষিত মানুষদের কথা, আবার কখনো উঠে এসেছে ভালবাসার কথা। নিজের লেখা কবিতাকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মনে করেন লেখিকা প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলা ছেড়ে কেন ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চা? সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পড়ে বড় হয়েছি। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ইংরেজি সাহিত্যচর্চার সঙ্গে জড়িত থাকতে থাকতে আমি ইংরেজির প্রেমে পড়ে যাই। সেই থেকেই শুরু হয় ইংরেজিতে লেখালেখি।”

প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে তিনি ইংরেজিতে শুধু কোড লিখতেন। পরবর্তীতে সেই কোড আকার নেয় গোটায় দস্তুর কবিতার। প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হওয়ার পরেও তাঁর মনে হয় ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চার এখন তাঁর বুনিয়াদি স্তরে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাঁর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে মাত্র। আগামী দিনে তাঁর লেখা বিশ্বের মানুষের আরও বেশি করে মন কাড়বে, এমনটাই আশাবাদী তিনি।