Hooghly TMC: CBI-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিলে ৯০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

Hooghly TMC: সভায় অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে আরামবাগ তৃণমূল জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় ছাড়াও খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা ছিলেন।

Hooghly TMC: CBI-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিলে ৯০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 12:23 PM

হুগলি: চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া দলের নেতাকে নিয়ে কর্মসূচি তৃণমূলের। শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। যুব তৃণমূলের ডাকা একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রবীর চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে চিটফান্ড কাণ্ডে প্রায় ৯০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। খানাকুল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপিও। ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল ভারত কৃষি সমৃদ্ধি লিমিটেড নামে এক চিটফান্ড কোম্পানির নামে অভিযোগ দায়ের হয়। বিজেপির দাবি, এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন বর্তমান তৃণমূলের খানাকুল ১ ব্লক সহসভাপতি প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সেই মামলা সিবিআই-এর হাতে যায় বলে খবর।

পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নামে ইডি-ও। তারই জেরে জানুয়ারির ৪ তারিখ প্রবীর চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা বের হয়। গত মঙ্গলবার খানাকুলের ময়ালে তৃণমূলের একটি মিছিল ও সভায় সক্রিয়ভাবেই দেখতে পাওয়া যায় অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে। সভায় অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে আরামবাগ তৃণমূল জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় ছাড়াও খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা ছিলেন। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই এদিন সুর চড়ায় বিজেপি। আর এতেই অস্বস্তিতে শাসক শিবির। বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক উমেশ অধিকারীর বক্তব্য, “৪ তারিখেই প্রবীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ৯০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আরামবাগ থানায় মামলা ছিল। সেটি পরে সিবিআই এর হাতে যায়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও কীভাবে এভাবে সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে? তৃণমূলের মিছিলে দেখা যাচ্ছে?”

যদিও দোষী হলে তার শাস্তি হবে, কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে পালটা যুক্তি খাঁড়া করেছে তৃণমূলও। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের একটা অংশ ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও দলের ভেতরে সরব হয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক সভাপতি তথা তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দুর সিংহ রায় বলেন, “যদিও কেউ কোনও অপরাধ করে থাকে, দল তাঁকে বাঁচাবে না। আর যদি কেউ রাগ করে ঘরে বসে থাকে, তার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, এটাই ধরে নিতে হবে।” অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অবশ্য এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি। অন্যদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা বের হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।