Attacked in Arambagh: বক্স বাজিয়ে এলাকায় হুজ্জুতি! পুলিশ ঢুকতেই পরিবারের উপর আক্রমণ, মেরে মাথা ফাটালো যুবকের
Arambag: অন্যদিকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে গোঘাটের মহেশপুর থেকে প্রচুর ডিজে বক্স উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হুগলি: রবিবারের সকালে পাড়ার ক্লাবে তারস্বরে গান বাজছিল। তারই প্রতিবাদ করায় এক পরিবারকে বেধড়ক মারধরের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। হুগলি জেলার আরামবাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ন’পাড়ার ঘটনা। এই ঘটনায় এক মহিলা গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ন’পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ খাঁয়ের অভিযোগ, সকাল ৬টার সময় তারস্বরে মাইক বাজছিল এলাকার ক্লাবে। সেই আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় বিশ্বজিৎবাবুর। এরপরই তিনি ক্লাবের সামনে গিয়ে একটি ভিডিয়ো করেন। এদিকে সন্ধ্যার পর ক্লাবের সামনে পুলিশ যায়। যা দেখে এলাকার ছেলেরা মনে করেন বিশ্বজিৎ খাঁ পুলিশকে খবর দিয়েছেন। এই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
বিশ্বজিৎ খাঁয়ের অভিযোগ, এরপরই একদল ছেলে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন। দরজা-জানলা ভেঙে দেন। এদিকে সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ বিশ্বজিৎ খাঁয়ের ছেলে সুমনের। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল ঝামেলার সৃষ্টি হয় ন’পাড়া এলাকায়। একই পরিবারের তিনজন মহিলা-সহ চারজন আহত হন। সুমন খাঁ নামে ওই যুবকের মাথা ফেটে যায়। আক্রান্তদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে পার্বতী খাঁ নামে এক গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করা হয়েছে। যদিও আরামবাগের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ খাঁ বলেন, “রবিবার সকাল ৬টায় ন’পাড়া যুবসংঘে তারস্বরে মাইক বাজানো শুরু করে। আমি গিয়ে ওখানে একটা ভিডিয়ো তুলি। রবিবার সন্ধ্যায়ও পুলিশ নিজেদের মতো করে রাউন্ডে গিয়ে ওখানে একই ছবি দেখে। এদিকে আমি সকালে ভিডিয়ো করায় ওখানকার ছেলেরা মনে করে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। তাই আমার বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে। আমার ছেলেকে মেরেছে। আমার বৌদি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। যারা এসব করেছে তাদের বিচার চাই।”
অন্যদিকে বিশ্বজিৎ খাঁয়ের ছেলে সুমন খাঁ জানান, “তখন সন্ধ্যা সাতটা সাড়ে সাতটা বাজে। আমি ঘরেই ছিলাম। হঠাৎ দরজাটা কেউ লাথি মেরে ভেঙে ফেলল মনে হল। আমি এসে দেখি কয়েকজন দাঁড়িয়ে। ওরা ফিস্ট করতে গিয়েছিল। ওদের বক্তব্য, আমার বাবা নাকি পুলিশকে জানিয়েছে পাড়ায় যেন সাউন্ড বক্স না বাজানো হয়। কিন্তু এই কথার তো কোনও প্রমাণ নেই। অনুমানের ভিত্তিতে ওরা বাড়িতে ঢুকে মা, বোন, আমায় মারধর শুরু করে। আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার জেঠিমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমাদের বাড়ির জানলা, দরজা, এমনকী বাইক, সাইকেল সমস্ত কিছু ভেঙেছে। আমাদের মূল দরজাটাও ভেঙেছে। পুলিশে অভিযোগ জানাব ঠিক করেছি। কিন্তু পুলিশ ছিল তো ঘটনার সময়, কোনও পদক্ষেপ করেনি তো।”
অন্যদিকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে গোঘাটের মহেশপুর থেকে প্রচুর ডিজে বক্স উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন সকাল থেকে রাত অবধি পিকনিককে কেন্দ্র করে রাজ্য সড়কের দু’পাশে লাগাম ছাড়া সাউন্ড বক্স ও মাইকের দাপাদাপি হওয়ায় অতিষ্ঠ মানুষ জন। রাতেও আরামবাগ- মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের উপর ডিজে বাজিয়ে দাপাদাপি চলছিল বলে অভিযোগ। তখনই গোঘাট থানার পুলিশ ওই বক্সগুলি বাজেয়াপ্ত করে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, অতিমারির বিপদে ত্রস্ত মানুষকে বিরক্ত করে তুলছে একদলের এই উচ্ছ্বাস। প্রতিবাদ করলেই আক্রমণ হচ্ছে।