TMC election: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নির্বাচন শুরু করল তৃণমূল
Hooghly: তবে বিরোধীদের দাবি এতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে, কমবে না। অন্যদিকে এই ভোটাভুটি নিয়েও দলীয় কর্মীদের মধ্যেই শুরু হয়েছে মত পার্থক্য।
সিঙ্গুর: সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই ভোটাভুটি শুরু করল সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।জানা গিয়েছে, ভোটের আগে প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটি শুরু করেছে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিভাজন। গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে কি এই ভোটাভুটি?
তবে বিরোধীদের দাবি এতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে, কমবে না। অন্যদিকে, এই ভোটাভুটি নিয়েও দলীয় কর্মীদের মধ্যেই শুরু হয়েছে মত পার্থক্য। মূলত, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সিঙ্গুর ব্লকের প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম ভিত্তিক সদস্য নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যেই ভোটাভুটি শুরু করেছে।
শাসকদলের ব্লক নেতৃত্বের পাঠানো চিঠি অনুযায়ী এলাকার ৫০ জন তৃণমূল কর্মীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যারা তাঁদের পছন্দ মত তিন জন প্রার্থীর নাম লিখে ভোট দান করছেন একটি জায়গায়। ভোট পাওয়ার নিরিখে প্রথম, দ্বিতীয় ,তৃতীয় স্থানাধিকারীর কর্মীর নাম সহ ফলাফল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে প্রার্থী বিবেচনার জন্য।
আর পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যে শাসক দলের এই অভিনব প্রয়াস সম্ভবত এরা আগে কোথাও দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর ব্লকের ১৬ টি পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটি বুথে পর্যায়ক্রমে এই ভোটাভুটি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্লকে এই ভোটাভুটি শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার হরিপাল ব্লকে শুরু হয়েছে এই পদ্ধতি। তবে সিঙ্গুর ব্লকে এই পদ্ধতিতে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলের অন্দরেই দেখা দিয়েছে মত পার্থ্যক্য।
প্রার্থী নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। অর্থাৎ প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষত্রে যে ৫০ জন তৃণমূল কর্মীকে ঠিক করা হয়েছে সেখানেও গোষ্ঠীবাজি করা হয়েছে বলে মত দিচ্ছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। অন্যদিকে এই পদ্ধতিকে আবার সমর্থনও করেছেন অনেকে।
এ দিকে গোটা বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। সিঙ্গুর বিজেপির যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি সৌমিত্র পাকিরার দাবি, ‘এরা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত স্বার্থে চরিতার্থ করতে চায়। কারণ ২০১৮ সালে যারা প্রধান হয়েছেন সিঙ্গুরের ১৬টা পঞ্চায়েতে, প্রত্যেকটা প্রধানের আঙুল ফুলে কলা গাছ। মানুষকে শোষণ করে এই সব টাকা এসেছে। শোষনের ভাগ তো সবাই নিতে চাইবে। তাই যে জিতবে এবং যে হেরে যাবে সেও টাকার লোভ ছাড়তে পারবে না। সেও আম, জাম, কাঠালে দাঁড়াবে। একে অপরকে হারাবার জায়গায় নেমেছে। আসলে এরা কাঁকড়ার জাত হয়ে গেছে।’
পাল্টা সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া জানান, ‘বিজেপি নিজেরা বুথে বুথে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। সেই জন্যে তারা এসব মিথ্যা কথা বলছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যেই আমরা কর্মীদের নিয়ে বুথে বুথে ভোটাভুটি করছি। তাছাড়া কোন প্রধান যদি ফুলে ফেঁপে ওঠে তাহলে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে তার বিরুদ্ধে।’