Arambagh: ‘আর কতদিন?’, উত্তরকাশীর ধ্বংসস্তূপ থেকে ছেলেকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি জয়দেবের বাবার

Arambagh: দু’দিন আগেও জয়দেবের পরিবারে হালকা হলেও যে আশার আলো লক্ষ্য করা গিয়েছিল সেটা শনিবার যেন সেটা উধাও। গোটা এলাকাতেও একটা থমথমে ভাব। তাঁদের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা ক্রমেই আরও বাড়ছে। শীঘ্রই উদ্ধার করা হোক ছেলেকে।

Arambagh: ‘আর কতদিন?’, উত্তরকাশীর ধ্বংসস্তূপ থেকে ছেলেকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি জয়দেবের বাবার
আরও বাড়ছে উদ্বেগ Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2023 | 11:51 AM

আরামবাগ: সরকারি আধিকারিক থেকে উদ্ধারকারী দল, সবার চোখে মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট। বিগত কয়েকদিন ধরে গোটা দেশের নজর উত্তর কাশীতেই। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে অগার ড্রিলিং মেশিন বের করে আনার পরিকল্পনা চলছে। পরিবর্তে ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ধাতব বস্তুতে আঘাত লেগে ফের বিকল হতে পারে অগার মেশিন। সে কারণেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, উৎকণ্ঠা কমছে না ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা পরিবার-পরিজনদের। বাড়ছে হতাশা। উদ্ধার হবে হবেই বলা হচ্ছে। কিন্তু কোথায়? কবে উদ্ধার হবে? এই প্রশ্নই যেন করছেন আরামবাগের সৌভিক-জয়দেবের পরিবারের সদস্যরা। 

দু’দিন আগেও জয়দেবের পরিবারে হালকা হলেও যে আশার আলো লক্ষ্য করা গিয়েছিল সেটা শনিবার যেন সেটা উধাও। গোটা এলাকাতেও একটা থমথমে ভাব। তাঁদের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা ক্রমেই আরও বাড়ছে। শীঘ্রই উদ্ধার করা হোক ছেলেকে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করছেন জয়দেবের বাবা তাপস বাবু। বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু, এবার তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ চাই। তাঁর হস্তক্ষেপ ছাড়া উদ্ধার কাজ শীঘ্র করা সম্ভব নয়। তাঁরা আশা, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে গোটা বিষয়ে আরও গতি আসবে। 

খানিক হতাশার সুরেই তাপসবাবু বলছেন, “শুধু আমার ছেলে না, আমার ছেলের সঙ্গে যাঁরা আটকে আছেন তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করা হোক। এই আবেদনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে করছি। উনি কাজ করছেন। কিন্তু, ওনার সরাসরি হস্তক্ষেপ চাইছি। তাহলে দ্রুত আমাদের ছেলেরা ঘরে ফিরতে পারবে।” প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ১৪ দিন মাটির নীচে আটকে রয়েছেন সৌভিক-জয়দেবরা। কবে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশের। এদিকে একদিন আগেই সৌভিক-জয়দেবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আরামবাগে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতা প্রীতম ঘোষ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতৃত্ব।