Murder during Puja: রাজকুমারের দেহ দেখে শিউরে উঠল পরিবার, ঠাকুর দেখতে গিয়ে কি এমন হল?
Murder during Puja: পেশাদার খুনিরা যে ভাবে খুন করে, সেই ভাবেই মারা হয়েছে বলে দাবি প্রাক্তন কাউন্সিলরের।
হুগলি : বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন এক যুবক। বাকিরা বাড়ি ফিরলেও তিনি ফেরেননি। তাঁর খোঁজ পেতে থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। এরই মধ্যে নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। হুগলির দিল্লি রোডের পাশে নয়ানজুলি থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর খুনের মামলা দায়ের হয়েছে হুগলির ভদ্রেশ্বর থানায়।
হুগলির চাঁপদানির হরিহর গলির বাসিন্দা রাজকুমার সাউ। গত বুধবার, দশমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন বছর ২২-এর ওই যুবক। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি পরিবারের। তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার ভদ্রেশ্বর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
শুক্রবার ভোরে ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার দিল্লি রোডের ধারে নয়ানজুলি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিখোঁজ যুবকের পরিবার মৃতদেহ শনাক্ত করে। এরপর খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত যুবকের দুই বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কী কারণে খুন হতে হল ওই যুবককে, চা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর বিক্রম গুপ্তা জানান,বন্ধুরা ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজকুমারকে। তাঁর দাবি, খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পেশাদার খুনিরা যে ভাবে খুন করে, সেই ভাবেই মারা হয়েছে বলে দাবি বিক্রম গুপ্তার।
মৃতের দাদা রাহুল সাউ জানান, কমল সাউ ও সরমন যাদব নামে দুই বন্ধু সঙ্গে রাজকুমারকে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীরামপুরে। এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে ভাই এর সম্পর্কের কথাও জানান রাহুল। তবে সেই সম্পর্কের জেরেই খুন কি না তা নিশ্চিত নন তিনি।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান,খুনের কারণ হিসেবে ত্রিকোন প্রেমের একটা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। দুই বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।