Hooghly Electricity: রাজ্যজুড়ে উৎসবের আলো, তার মধ্যে অন্ধকারে ডুবে এই গ্রাম

Hooghly: হুগলির পান্ডুয়ার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েতের দাতসর গোদরপাড়া আদিবাসী গ্রাম। সতেরোটি পরিবার বসবাস করছেন কয়েক পুরুষ ধরে।

Hooghly Electricity: রাজ্যজুড়ে উৎসবের আলো, তার মধ্যে অন্ধকারে ডুবে এই গ্রাম
পাণ্ডুয়ার গ্রামে নেই বিদ্যুৎ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 3:59 PM

হুগলি: সামনে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। চারিদিকে আলোর রঙের ছটা। সেজে উঠেছে গ্রাম থেকে শহর। তবে এখনও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গোটা গ্রাম। একদিকে হুগলি অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান। এই দুই জেলার সীমানায় বসবাস করেন অনেকেই। বর্তমানে গোটা রাজ্য যখন উৎসবের আলোয় মেতে উঠতে প্রস্তুত হচ্ছে,এই গ্রাম ডুবে থাকবে অন্ধকারে।

হুগলির পান্ডুয়ার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েতের দাতসর গোদরপাড়া আদিবাসী গ্রাম। সতেরোটি পরিবার বসবাস করছেন কয়েক পুরুষ ধরে। মূলত দিন মজুর পরিবারগুলির ঘরে বিদ্যুৎ নেই। যার ফলে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার অসুবিধা। মোবাইল আছে কিন্তু চার্জ দিতে পারেন না অনেকেই। গ্রামের রাস্তাও বেহাল। অভিযোগ, প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। কোনও গাড়ি ঢুকতে চায় না।

দুদিকে ধান জমি। দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়। কিন্তু যথার্থ অর্থে পিছিয়ে পড়া গ্রাম। বর্ধমানের মেমারি থেকে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ঘুরে দেখেছেন গ্রাম। পাণ্ডয়া ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক কর্মাধ্যক্ষ ও সভাপতিরা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, প্রায় পনেরোটি বিদ্যুৎ-এর খুঁটি বসাতে হবে গোটা গ্রামে। দুই জেলার সীমানা এলাকা তাই বর্ধমানের মেমারি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানান বিদ্যুৎ আধিকারিক অমৃত পট্টনায়ক।

বছর বছর ধরে তাদের অন্ধকারেই দিন কাটে। সন্ধা হলেই নেমে আসে ঘোর আঁধার। লম্ফর আলোই একমাত্র ভরসা। কেরোসিনের দাম বেড়েছে অনেকটাই তাই বিদ্যুৎ এর জন্য বিভিন্ন দফতর প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েছেন।

পাণ্ডয়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা সমন্বয়ের অভাব ছিল তাই এতদিন গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি। গ্রামের অবস্থানটা এমন জায়গায় বৈঁচি বিদ্যুৎ বন্টন দফতর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি। পাণ্ডয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা হুগলি জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।

মেমারি বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপরেই গ্রামে বিদ্যুতের সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়। পুজোর পরেই সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। গ্রামবাসী বৈদ্যনাথ সরেন, উকিল সরেন,কল্পনা হেমব্রম,সঙ্গিতা সোরেনরা বলেন, ‘বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় খুবই অসুবিধা হয়। বার বার আবেদন করেও বিদ্যুৎ পাইনি। আমরা দুই জেলার প্রান্তিক এলাকায় থাকি বলে কোনও সুযোগ সুবিধা পাই না।’

মেমারি কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার অমৃত পট্টনায়ক বলেন, ‘কেন এতদিন হয়নি সেটা আমরা বলতে পারব না।এটা হুগলি জেলার গ্রাম।আমাদের কাছে আবেদন যাওয়ার পর আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি।বিদ্যুৎ দেওয়া হবে পুজোর পর কাজ শুরু হবে।’