Potato Farming: বস্তায় বস্তায় ‘লস’, সরকারের দাম হিসেব করে মাথায় হাত চাষিদের, সংসার চলবে কী করে!
Potato Farming: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিগত কয়েক বছর ধরে আলু চাষে ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আলু চাষিরা। তাই তাঁদের দাবি ছিল, ধানের মতো আলুরও সহায়ক মূল্য নির্ধারন করুক সরকার।

হুগলি: সরকারি দামে লাভ তো দূরের কথা, বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছেন আলুচাষিরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে। বস্তা-প্রতি যা কৃষকদের যা দাম দেওয়া হচ্ছে, তাতে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিগত কয়েক বছর ধরে আলু চাষে ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আলু চাষিরা। তাই তাঁদের দাবি ছিল, ধানের মতো আলুরও সহায়ক মূল্য নির্ধারন করুক সরকার। সেই সঙ্গে ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন কৃষকরা।
কৃষকদের হিসেব বলছে, আলুর উৎপাদন খরচ বস্তা পিছু ৪৬৫ টাকা। আর সেই বস্তা সরকার কিনছে ৪৫০ টাকায়। অর্থাৎ চাষিদের ক্ষতি হচ্ছে বস্তা পিছু ১৫ টাকা করে। বিঘা প্রতি ক্ষতির পরিমাণ ৭৫০ টাকা। সরকারের সহায়ক মূল্য নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কৃষক মহলে।
চলতি বছরে গড়ে বিঘা প্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে ৮০ বস্তা (৫০ কেজি)। গড়ে সেই আলুর উৎপাদন খরচ বস্তা পিছু ৪৪০ টাকা। তার সঙ্গে রয়েছে বস্তার দাম, বাছাই খরচ এবং হিমঘর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার খরচ। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত ২৫ টাকা করে খরচ পড়ে বস্তা পিছু।
অর্থাৎ বস্তা প্রতি সব মিলিয়ে খরচ দাঁড়াচ্ছে ৪৬৫ টাকা করে। কিন্তু সরকার হিমঘর থেকে চাষিদের থেকে আলু কিনবে ৪৫০ টাকায়। আর তাতেই বিঘা প্রতি ক্ষতি হচ্ছে ৭৫০ টাকা করে। তিন মাস ধরে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার উপর খরচ করে এক বিঘা জমিতে চাষ করেন কৃষকরা। আর অভিযোগ, সেখানে লাভের বদলে উল্টে বিঘা প্রতি ক্ষতি হচ্ছে ৭৫০ টাকা করে।
অন্যদিকে, ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে এখনও জারি আছে নিষেধাজ্ঞা ফলে ব্যবসায়ীদের আলু কেনার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা আলু না কিনলে আলুর দাম নিম্নমুখীই থাকবে ফলে বর্তমানে ব্যাপক ক্ষতির মুখে আলুচাষিরা।
তবে সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কৃষি দফতরের যুক্তি, ব্যবসায়ীরা যাতে চাষিদের থেকে কম দামে আলু কিনতে না পারে, তার জন্যই সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে চাষিদেরই লাভ।
কৃষি দফতরের এই যুক্তিকে হাস্যকর বলে দাবি আলু ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, ভিনরাজ্যে রফতানি বন্ধ রাখলে কোনোমতেই চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন না।





