Suicide: ঘরের মেঝেতে পড়ে হুক্কার পাইপ, মদের বোতল, প্রেমে বিরহে হুগলিতে আত্মঘাতী বছর আঠাশের রঞ্জিত
Suicide: ছেলের যে কিছু একটা হয়েছে তা মা-বাবা বুঝতে পারছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু, তাই বলে এই কাণ্ড করে ফেলবে তা তাঁরা ভাবতেও পারছেন না।
হুগলি: চাকরি পাওয়ার পর নতুন ঘর নিয়েছিলেন ব্যান্ডেলে। নতুন অফিসে পরিচয় হয়েছিল এক তরুণীর সঙ্গে। বন্ধত্ব থেকে তা ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমের। সবই ঠিকঠাক ছিল। ছেলে ভাল বেতনের কাজ পেয়েছে, শুনে খুশি ছিলেন মা-বাবাও। কিন্তু, কে জানত নতুন অফিসের নতুন প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে চিরতরে কেড়ে নেবে দাদপুরের রঞ্জিতকে। সূত্রের খবর, একটি অনলাইন বিপণন সংস্থায় কাজ পেয়েছিলেন দাদপুরের বাদিনান গ্রামের বাসিন্দা বছর আঠাশের রঞ্জিত মালিক। সেই সূত্রে ঘর নিয়েছিলেন ব্যান্ডেলে। সেই ঘরেই প্রায়শই আসতেন তাঁর প্রেমিকা। এখনও ঘরের দেওয়ালে ঝুলছে তাঁদের কতরকমের ছবির কোলাজ। কিন্তু, আর নেই রঞ্জিত। এই ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ (Suicide in Hooghly)।
মা-বাবা জানাচ্ছেন, ছেলের যে কিছু একটা হয়েছে তা তাঁরা বুঝতে পারছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। জানতে চাইলে বলেছিল মন খারাপ। বান্ধবীর সঙ্গে ঝামেলা চলছে। কিন্তু, তারমধ্যেই যে এই কাণ্ড করবে ফেলবে তা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।
রঞ্জিতের বাবা অনিল মালিক বলছেন, “বেশ ভাল বেতন পেত। এমনিতে ওর কোনও সমস্যাইঅ ছিল না। তবে ওর যে মন খারাপ সেটা আমরা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু, কী হয়েছে খুলে বলেনি। শুধু বলেছিল বান্ধবীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। ওকে না বলেই আমরা ব্যান্ডেলে আসার সিদ্ধান্ত নিই। ফোনও করছিলাম। বেশ কয়েকবার ফোন রিং হওয়ার পরেও ও ধরেনি। তখনই আমরা বাড়ির মালিককে বলি গিয়ে দেখতে। তিনি জানান ওর দরজা বন্ধ। এসে তো দেখি এই কাণ্ড। ঘরের মেঝেতে পড়ে হুক্কার পাইপ, মদের বোতল ছড়ানো।” ইতিমধ্যেই চুঁচুড়া থানার পুলিশ রঞ্জিতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে।