Hooghly Bomb Blast: বিয়ে ভেঙেছে আগেই, সন্তানকে মারতে বোমা রেখেছে মা? আদালতে যাওয়ার পথে অঝোরে কাঁদলেন রীতা

Hooghly Bomb Blast: সুকদেবের সঙ্গে রীতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে আগেই। মাস পাঁচেক আগে এলাকারই দেবা সরকার নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ছে রীতার। তাঁরা দুজনে বিহারে থাকেন। রীতার স্বামী হাতুড়ে চিকিৎসকের কাজ করেন। দিন তিনেক আগে দাঁতের চিকিৎসার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি।

Hooghly Bomb Blast: বিয়ে ভেঙেছে আগেই, সন্তানকে মারতে বোমা রেখেছে মা? আদালতে যাওয়ার পথে অঝোরে কাঁদলেন রীতা
বোমা বিস্ফোরণে আহত মহিলাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2024 | 6:50 PM

পাণ্ডুয়া: ‘নিজের সন্তানকে কোন মা মারতে চায়!’ আদালতে যাওয়ার পথে কেঁদে কেঁদে বললেন বোমা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ধৃত রীতা মণ্ডল। সোমবারই বোমা ফেটে এক কিশোরের মৃত্যুর পর গ্রেফতার হন রীতা। প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের মাঝে এই বোমা অন্য কেউ রাখেনি তো?

সোমবার সাত সকালে পান্ডুয়ার তিন্না নেতাজী পল্লী এলাকায় বোমা ফেটে মৃত্যু হয় রাজ বিশ্বাস নামে বছর ১২-র এক কিশোরের। গুরুতর আহত হন রূপম বল্লভ(১২) ও সৌরভ চৌধুরী(১১)। রাজের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পাল্লা রোডে। স্কুলের ছুটিতে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। তিনজন মিলে খাদের পাড়ে খেলছিল। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গেলে তা ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এক কিশোদের হাত উড়ে যায়, পেটে পায়ে বোমার স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক কিশোরের। বাকি দু’জন বর্তমানে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনায় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয় পাণ্ডুয়া। ভোটের আগে কে ওই এলাকায় বোমা রাখল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এনআইএ তদন্তের দাবিও ওঠে। এরই মধ্যে সোমবার গ্রেফতার করা হয় আহত কিশোর রূপম বল্লভের মা রীতাকে। রীতার প্রাক্তন স্বামী সুকদেব বল্লভ অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলতেই বোমা রাখা হয়েছিল।

সুকদেবের সঙ্গে রীতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে আগেই। মাস পাঁচেক আগে এলাকারই দেবা সরকার নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ছে রীতার। তাঁরা দুজনে বিহারে থাকেন। রীতার স্বামী হাতুড়ে চিকিৎসকের কাজ করেন। দিন তিনেক আগে দাঁতের চিকিৎসার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে না গেলেও নিজের সন্তানকে ডেকে কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। সেই ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে রীতাকে। গতকাল চুঁচুড়া হাসপাতালে ছেলেকে দেখতে এলে তাকে আটক করা হয়।পরে গ্রেফতার করে মগড়া থানায় রাখা হয়।আজ আদালতে পেশ করার সময় রীতা কেঁদে ফেলেন।তিনি দাবী করেন,তিনি বোম রাখেননি।তিনি কোনো অন্যায় করেননি তাকে ফাঁসিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোক।নিজের ছেলেকে কেউ মারার চেষ্টা করতে পারেন না বলেও জানান তিনি।

রীতার আত্মীয়, প্রতিবেশীদের দাবি, রীতা এমন কাজ করতে পারেন না। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। দু’জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একজন গ্রেফতার হয়েছে, অপর জনের খোঁজ চলছে।