হুগলিতেও ‘সনাতনী’ জাল চক্র! মানবাধিকার রক্ষার নামে ভুয়ো সংস্থা, পত্রিকা চালানোর অভিযোগ

Sanatan Roy Chaudhuri: সাক্ষীবাবুর অভিযোগ, দুই বছর আগে তাঁরই এক ছাত্রের হাত ধরে ওই ভুয়ো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় সদস্যপদ গ্রহণ করেন স্বাক্ষীবাবু। সেই সময় সদস্যপদ পেতে হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকেই তাঁর সন্দেহ শুরু হয়।

হুগলিতেও 'সনাতনী' জাল চক্র! মানবাধিকার রক্ষার নামে ভুয়ো সংস্থা, পত্রিকা চালানোর অভিযোগ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2021 | 3:40 PM

হুগলি: জাল সিবিআই কৌঁসুলি সনাতন রায় চৌধুরী (Sanatan Roy Chaudhuri) ঠিক কতদূর তাঁর প্রতারণা চক্র বিস্তার করেছিলেন তা নিয়ে তদন্তে পুলিশ। ‘সনাতনী’ জাল বিস্তার লাভ করেছিল হুগলিতেও এমনই অভিযোগ উঠল এ বার। অভিযোগ, মানবাধিকার রক্ষার নামে উত্তরপাড়ায় একটি ভুয়ো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলে বসেছিলেন সনাতন। সঙ্গী ছিলেন বিশ্বজিৎ হাজরা ওরফে সংগ্রাম মিত্র। উত্তরপাড়ার এই সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সমাজকর্মী সাক্ষী ঘোষ হাজরা।

সাক্ষীবাবুর অভিযোগ, দুই বছর আগে তাঁরই এক ছাত্রের হাত ধরে ওই ভুয়ো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় সদস্যপদ গ্রহণ করেন স্বাক্ষীবাবু। সেই সময় সদস্যপদ পেতে হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকেই তাঁর সন্দেহ শুরু হয়। মানবাধিকার রক্ষার নামে সংস্থার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলতেন সনাতনরা (Sanatan Roy Chaudhuri) । এসব দেখেই তিনি সদস্যপদ ত্যাগ করে টাকা ফেরত নিয়ে চলে আসেন। সম্প্রতি, সনাতন ধরা পড়ায় সাক্ষীবাবু নিশ্চিত হন সনাতনরা ভুয়ো সংগঠন চালাতো। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই সমাজকর্মী আরও জানিয়েছেন,  ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব হিউম্যান অ্যান্ড ফান্ডামেন্টাল রাইটস’ নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক সংগ্রাম মিত্র আসলে বাঁকুড়ার বিশ্বলজিৎ সাঁতরা। যিনি নিজের নাম বদলে সংগ্রাম মিত্র করেছিলেন।

সাক্ষীবাবুর আরও অভিযোগ বছর তিনেক আগে ‘ঐকতান’ নামে একটি পত্রিকা চালাতেন সনাতন। নিজের সাহিত্যপ্রীতি থাকার পত্রিকা মারফতই সনাতনবাবুর (Sanatan Roy Chaudhuri) সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ হয় সাক্ষীবাবুর। ওই পত্রিকায় কিছু লেখালিখিও করেছেন সাক্ষীবাবু। কিন্তু, পরে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায়। ততদিনে সাক্ষীবাবু ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য। ‘রকমসকম’ ভাল না বুঝেই তারপর সংস্থা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে,শুধু সাক্ষী নন, আরও অনেকের থেকেই হাজার টাকা নিয়ে তাঁদের ওই সংস্থায় সদস্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাক্ষী। এমনকী, গোটা হুগলি জেলাতেও এই জাল চক্র বিস্তারের চেষ্টায় ছিল সনাতন।

আরও পড়ুন: মিলেছে সদস্য পদের রসিদ, সনাতন মামলায় এবার বিজেপিকে চিঠি লালবাজারের