Hooghly News: দশমী থেকে নিখোঁজ নাবালিকা,পরিবারের দাবি মেনেই খুঁজতে এল স্নিফার ডগ

Hooghly: এ দিকে, অন্ধকার নেমে যাওয়ায় বেশ কিচ্ছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আলোর ব্যবস্থা করলে তদন্তে নামনো হয় স্নিফার ডগটিকে।

Hooghly News: দশমী থেকে নিখোঁজ নাবালিকা,পরিবারের দাবি মেনেই খুঁজতে এল স্নিফার ডগ
তদন্তের জন্য আনা হল স্নিফার ডগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 8:45 AM

হুগলি: দশমীর দিন নিখোঁজ হয়েছিলেন নাবালিকা। পরে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। মেয়েকে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ অভিযোগও দায়ের করতে যায় পরিবারের সদস্যরা। তবে প্রথম থেকেই তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলে আসছিলেন। শনিবার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকাবাসী। তাঁদের সাফ দাবি পুলিশ কুকুর বা স্নিফারডগ দিয়ে তদন্ত করতে হবে। আর সেই মোতাবেক বর্ধমান থেকে স্নিফাররডগ নিয়ে শুরু হল তদন্ত। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এসে পৌঁছয় কুকুর। এ দিকে, অন্ধকার নেমে যাওয়ায় বেশ কিচ্ছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আলোর ব্যবস্থা করলে তদন্তে নামনো হয় স্নিফার ডগটিকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে যে এলাকায় দেহটি উদ্ধার হয়েছিল সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় স্নিফারডগটিকে। এরপর একাধিক জায়গায় কুকুরটি ঘোরাঘুরি করে পুলিশের সঙ্গে। নাবালিকাকে কে বা কারা খুন করেছে, আদৌ খুন হয়েছে কি না অথবা কেউ তাকে ধর্ষণ করেছে কি না গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় শনিবার সকালে এলাকার একটি ঝিলে দেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কারণ এলাকাবাসী ঝিলের পাশেই একজোড়া পুরুষের জুতো পড়ে রয়েছে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা খবর, দশমীর রাত্রিবেলা ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হন নাবালিকা। তবে ভাই-বোন ফিরলেও ওই নাবালিকা বাড়ি ফেরেনি। বাড়ির মেয়েকে না পেয়ে একটি নিখোঁজ অভিযোগও দায়ের করা হয় থানায়। তবে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কোনও সহযোগিতা করেনি।

এরপর চারদিন নিখোঁজ থাকার পর আজ সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি ঝিলে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন এসে জামা-কাপড় দেখে সনাক্ত করেন। এরপর ঘটনাস্থলে আসে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। অভিযোগ, দেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে বাধা দেয় স্থানীয় মানুষ পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি কুকুর এনে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।

গোটা ঘটনায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমানদীপ বলেন, ‘একটি নাবালিকা নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার অভিযোগ দায়ের হয়। তারপর থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। আজ ওই এলাকার একটি জলাশয়ে মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।পুলিশ ওখানে রয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।’