Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে সরকার বদল? যা বললেন শুভেন্দু…

Suvendu Adhikari: এবার সিএএ ইস্যুতে রাজ্যের শাসক শিবিরকে বিঁধে কড়া আক্রমণ শানালেন শুভেন্দুও। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে ফেব্রুয়ারি মাসে।' শুভেন্দুর দাবি, সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'আতঙ্কিত' হয়ে পড়েছেন।

Suvendu Adhikari: লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে সরকার বদল? যা বললেন শুভেন্দু...
সিএএ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দুImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2024 | 11:16 PM

চুঁচুড়া: লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। সব রাজনৈতিক দলগুলি ব্যস্ত ভোটের নীল নকশা তৈরির কাজে। এসবের মধ্যেই ভোটের ময়দানে বার বার ঘুরে ফিরে সিএএ প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিছুদিন আগেই কেন্দ্রকে বিঁধেছেন এই নিয়ে। বলেছিলেন, ‘নতুন করে ক্য়া ক্যা করে চিৎকার করছে।’ আর এবার সিএএ ইস্যুতে রাজ্যের শাসক শিবিরকে বিঁধে কড়া আক্রমণ শানালেন শুভেন্দুও। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে ফেব্রুয়ারি মাসে।’ শুভেন্দুর দাবি, সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আতঙ্কিত’ হয়ে পড়েছেন।

কেন ‘আতঙ্কিত’? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর যুক্তি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আতঙ্কিত। ভাবছেন, আমার সিটগুলো সব গেল। কারণ, এখানে ৩৫টি আসন (বিজেপি জেতা) মানে, মমতা ধপ! তার পরের দিন বিজেপি সরকার।’

এদিন চুঁচুড়ায় সাংবাদিকরা শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন এত উদ্বিগ্ন? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই শুভেন্দু বললেন,  ‘ওনার কাছে খবর আছে, সিএএ পোর্টাল চালু হতে চলেছে। আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছে। রুল ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা কার্যকরের দিকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।’

এরপরই শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘যে বাঙালি হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে উৎপীড়িত হয়ে এসেছেন, এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের সহনাগরিকত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর কমিটমেন্ট। অমিত শাহর তৈরি করা আইন কার্যকর হতে চলেছে।’

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে ফের ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনীতির অন্দরমহলে। রবিবার কাকদ্বীপের এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন, “গ্যারান্টি দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” এরপরই আবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পাল্টা বলেছেন,  “মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সিএএ-র প্রয়োজন নেই। সিএএ হবে না। বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে না।”