TMC: শাসকের ‘দাদাগিরি’, পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি, তৃণমূল কাউন্সিলর বললেন, ‘আমি এলাকার আইন-আদালত’
Dankuni: ডানকুনির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা কালাচাঁদ সেনগুপ্ত আদালতের নির্দেশে তাঁর জমি দখল নিতে লোহার রড ও কাঁটাতারের সীমানা দেন।
ডানকুনি: এবার ডানকুনিতে শাসকের দাদাগিরি! এক পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
ডানকুনির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা কালাচাঁদ সেনগুপ্ত আদালতের নির্দেশে তাঁর জমি দখল নিতে লোহার রড ও কাঁটাতারের সীমানা দেন। অভিযোগ, তারপরই ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন কেন কাঁটা তারের সীমানা দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁর কথা না শুনলে গোটা পরিবারকে প্রাণে মারারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি করেছেন কালাচাঁদ। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে কালাচাঁদের পরিবার।
অভিযোগকারীনী বলেন, ‘কেন এই জায়গা ঘিরে দিয়েছেন। তারপর তিনি বলেন যে আমি এই এলাকার আইন-আদালত। আমার নির্দেশ ছাড়া কেন ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তারপর আমাদের বলেন যে, আদালত থেকে সব কাগজ তুলে আমাদের হাতে জমা দিন। পুলিশকে বললেও প্রথমে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। সঙ্গে পুলিশ এও বলে উনি প্রভাবশালী তাই ওনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।’ এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘এদেরকেই কাউন্সিলরের টিকিট দেওয়া । এরা কোর্ট, এরাই থানা। আজ তৃণমূল সরকার এবং দল সমার্থক হয়ে গিয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তৃণমূলে যোগ দাও, কাজ করো সব পাবে। সেই কারণেই এই ধরনের ছেলেরা এত বেশি মাতব্বর হয়ে গিয়েছে।’
যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকার যত মানুষ রয়েছে সকলের নামে কেস করে আসছে। যখন-তখন অন্য লোকের বাড়ির পাঁচিল ভেঙে বলছে কোর্টের অর্ডার। দীর্ঘদিন ধরে চলছে। উনি পৌরসভাকেও মানেন না। পৌরসভার বিরুদ্ধেও কেস করেছেন। লোকের বাড়ির বাথরুমের দিকে সিসিটিভি করে রেখেছেন। উনি সিসিটিভি বসাতেই পারেন। কিন্তু বাথরুমের দিকে মুখ করে কেন বসাবেন। সেই কারণে ঝামেলা হতে আমি পরিদর্শনে যাই।’