Arms Recovered: ট্রেনে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে নির্বিকার ছিলেন, দু’জন সামনে দাঁড়াতেই দরদরিয়ে ঘামতে থাকেন, তাতেই পর্দাফাঁস
Arms Recovered: জানা যাচ্ছে, ট্রেনের কামরায় বাকি যাত্রীদের সঙ্গে মিশেই ছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে একবারের জন্যও সন্দেহ হওয়ার ছিল না।
হুগলি: ট্রেনে তখন ভালই ভিড়। কোণার সিটে বসে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন মাঝবয়সী ব্যক্তি। তাঁর পায়ের কাছেই রাখা ছিল কালো ব্যাগটা। ব্যান্ডেল স্টেশন ঢুকতেই কয়েকজন তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান। বাকি যাত্রীরা তখনও কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ব্যক্তিটিকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলেন সাদা পোশাকের কর্তারা। তারপরই হাতে হাতকড়া। ব্যাগের চেন খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ বাকি যাত্রীদের। এ তো অস্ত্র! অস্ত্র পাচার হচ্ছিল ট্রেনেই, বাকি যাত্রীদের সঙ্গে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ব্য়ান্ডেল স্টেশনে। ব্যান্ডেল থেকে এক অস্ত্র পাচারকারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ওয়াসিম আখতার।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একটি কালো ব্যাগে করে অস্ত্র বিহার থেকে নিয়ে আসছিলেন। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩ টি সেভেন এম এম পিস্তল, ও ৩৫ টি কার্তুজ। পুলিশ অস্ত্রগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে ওয়াসিম আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারি। তিনি কার হয়ে কাজ করতেন, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
জানা যাচ্ছে, ট্রেনের কামরায় বাকি যাত্রীদের সঙ্গে মিশেই ছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে একবারের জন্যও সন্দেহ হওয়ার ছিল না। কামরায় এসটিএফের সদস্যরা সাদা পোশাকে ওঠেন। ফলে বাকি যাত্রীরাও সন্দেহ করেননি।
ওয়াসিমের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করতেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। তারপর কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। আসলে ওই ট্রেনেই যে অস্ত্র পাচার হবে, সে খবর আগে থেকেই ছিল এসটিএফের সদস্যদের কাছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, বিহার থেকে অস্ত্র নিয়ে আসছিলেন ওয়াসিম।
ওয়াসিম কার হয়ে কাজ করতেন, কলকাতার কোথায় অস্ত্র পাচার করছিলেন, কলকাতার কোন চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি, সেই সবই খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।