TMC Leader: ছেলের জন্মদিনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার তৃণমূল নেতার, আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

TMC Leader: এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় ছুটে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন তিনিও।

TMC Leader: ছেলের জন্মদিনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার তৃণমূল নেতার, আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 10:19 PM

খন্যান: ছেলের জন্মদিন (Birthday)। বাড়িতে খুশির মহল। কিন্তু, এই খুশির দিনেই সকলকে ছেড়ে পরলোকের উদ্দেশে চলে গেলেন বাবা। করলেন আত্মহত্যা (Suicide)। আর তাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। কিন্তু, আত্মহত্যার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মন খারাপ করা এই ঘটনা ঘটেছে পান্ডুয়ার ইটাচুনা খন্যান অঞ্চলে। মৃত ব্যক্তিক নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(৩৫)। খন্যান জিটি রোডের পাশে তার একটি ওষুধের দোকানও রয়েছে। সেই সূত্রের খবর, তিনি আবার পান্ডুয়ার ইটাচুনা খন্যান অঞ্চল তৃণমূলের (Trinamool Congress) কার্যকরী সভাপতিও ছিলেন। স্বভাবতই এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকার ঘাসফুল শিবিরেও। 

ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দোকানের কর্মচারি বঙ্কিম ঘোষ জানান, প্রত্যেকদিন বিকাল পাঁচটার দিকে দোকানে আসতেন রাজীববাবুু। বাড়ি থেকে আসতেই বাইকে। কিন্তু, এদিন সময়ে তাঁকে দোকানে দেখতে না পেয়ে পাশের দোকানদার জিজ্ঞেস করেন রাজীববাবু এসেছেন কিনা। শুরু হয় খোঁজ নেওয়া। তখনই দোকানের পিছনের ঘরে দেখেন অর্ধেক শাটার খোলা আলো জ্বলছে। ভেতরে ঢুকতেই রাজীবকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। বঙ্কিম ঘোষ বলেন, “দীর্ঘ পনেরো বছর ওর সঙ্গে কাজ করছি, আমার সঙ্গে বন্ধুর মত মিশত। কিন্তু কি কারণে এই ঘটনা ঘটল বলতে পারব না।”

এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় ছুটে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়। রাজীববাবুর আচমকা মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনিও। বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দল করেছে। ইটাচুনা খন্যান অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি ছিল। পাশাপাশি ওই এলাকার একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিল। বিকাল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। একটা শিক্ষিত ছেলে কি কারণে আত্মহত্যা করল জানি না। স্থানীয় বাসিন্দা সুকুর আলি সরকার বলেন, “ওষুধের দোকান চালাতে গিয়ে অনেক ধার দিয়েছিল। গ্রামের গরীব মানুষরা এলে ফেরাত না। আসলে রাজনীতি করতে গেলে মানুষের জন্য করতে হয়। অল্প অল্প করে অনেক টাকা ব্যবসায় ঢুকে যায়। সেই টাকা আর আদায় করতে পারছিল না। একটা অবসাদ ছিল।রাজীবের নয় বছরের একটি ছেলে আছে।ছেলের আজ জন্মদিন ছিল। কিন্তু ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা করল বলতে পারব না।” এদিকে ইতিমধ্যেই পান্ডুয়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে মৃতের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে রাজীববাবুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্তারা।