Manoranjan Bapari: ‘এক্কেবারে বোবা বধির অন্ধ, না লেখা, না বকা’, মনোরঞ্জন কেন আবার মৌনব্রত নিলেন
TMC MLA: ণমূল বিধায়ক মনে করছেন, তাঁর লেখায় ও বলায় নাকি অনেকে অনেক ভুল-ত্রুটি খুঁজে বের করছেন ইদানিং কালে। তাই আপাতত লেখা ও মন্তব্য করা উভয় থেকেই বিরত থাকতে চাইছেন তিনি। ফেসবুকে ওই লম্বা চওড়া পোস্টে লিখেছেন, 'অদ্য থেকে আমার অনির্দিষ্ট কালের জন্য মৌনব্রত ধারন। না লেখা, না আর বকা। আজ থেকে আমি এক্কেবারে বোবা বধির অন্ধ!'
বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, তিনি বলছেন দুষ্কৃতীদের উদ্দেশে, কিন্তু ‘দেহমন জ্বলছে’ নেতাদের কারও কারও। তিনি মনে করছেন, তিনি যাই বলবেন, সেটাই কেউ না কেউ নিজের গায়ে টেনে নেবেন। তাই আপ কোনও কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমনকী ফেসবুকেও আর কিছু লিখবেন না বলে ভেবেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নীরব করে দাও’ কবিতার কথা স্মরণ করে বলাগড়ের বিধায়ক লিখেছেন, ‘যাঁদের শতাব্দীর ঘুম ভাঙানোর জন্য এত চেঁচালাম, এত লিখলাম তাঁরা তো জাগলোই না, মাঝে থেকে অকারনে অনেক শত্রু বেড়ে গেল।’
কী কারণে তাঁর এই মৌনব্রত, কোন নেতারা তাঁর কথায় অসন্তুষ্ট হচ্ছেন, সেই বিষয়টি নিয়ে অবশ্য খোলসা করে কারও নাম উল্লেখ করেননি মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে সাম্প্রতিককালে যুবনেত্রী রুনা খাতুনের সঙ্গে তাঁর যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তার পরবর্তী সময়ে বিধায়কের এমন আক্ষেপ-ভরা ফেসবুক পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।