Kalyan Banerjee: ‘মিমিক্রি একটা আর্ট, দরকারে আবার করব’, শ্রীরামপুরের সভা থেকে হুঙ্কার কল্যাণের
একের পর এক দলীয় সভা থেকে মিমিক্রির পক্ষে সওয়াল করে যাচ্ছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। শনিবার কোন্নগরের দলীয় সভার পর রবিবার শ্রীরামপুরের জনসভা। সংসদে মিমিক্রি করে তিনি যে কিছু ভুল করেননি, তা আবারও স্পষ্ট করলেন কল্যাণ। মিমিক্রিকে সাংবিধানিক অধিকার বলেও এ দিন দাবি করেছেন কল্যাণ।
শ্রীরামপুর: সংসদে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করার অভিযোগ ওঠে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। সমালোচিত হন তৃণমূল সাংসদ। সেই ঘটনার রেশ কিছুটা থিতিতে এসেছে, কিন্তু একের পর এক দলীয় সভা থেকে মিমিক্রির পক্ষে সওয়াল করে যাচ্ছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। শনিবার কোন্নগরের দলীয় সভার পর রবিবার শ্রীরামপুরের জনসভা। সংসদে মিমিক্রি করে তিনি যে কিছু ভুল করেননি, তা আবারও স্পষ্ট করলেন কল্যাণ। মিমিক্রিকে সাংবিধানিক অধিকার বলেও এ দিন দাবি করেছেন কল্যাণ। এর পরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, “এক বার করেছি। দরকারে হাজার বার করব। আমাকে জেলে দিতে পারেন। খুন করতে পারেন। কিন্তু লডাই থামবে না।” এ দিনের সভা থেকে বিজেপি-কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি।
মিমিক্রির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে কল্যাণ বলেছেন, “মিমিক্রি কি আমরা প্রথম দেখলাম? প্রধানমন্ত্রী তো মিমিক্রি করেছেন। আমরা সেটা এনজয় করেছি। স্পোর্টিংলি নিয়েছি। মিমিক্রি তো নতুন কিছু নয়। এটা একটা আর্ট। কৌতুক যদি কেউ না বোঝে তাহলে আমি কী করব। কারও যদি শিক্ষা না থাকে, হিউমার না বুঝে নিজের ঘাড়ে টেনে নেয়, আমি কী করতে পারি। শ্রীরামপুরের মানুষ অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে। সত্যি অনেক মানুষ আছে যাঁরা শিল্প জানেন। তাঁরা জানে কোনটা কৌতুক আর কোনটা কৌতুক নয়।” শনিবার কোন্নগরে দলীয় সভা থেকেও ধনখড়েক কান্নার মিমিক্রি করে দেখিয়েছিলেন তিনি।
বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রবিবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছেন কল্যাণ। সংসদে হানাদারি ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে সংসদে য ঘটেছে, তা গণতন্ত্রের ইতিহাসে লজ্জাজনক বলে মনে করেন তিনি। বিজেপির এই সব কীর্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “১৪১ জন সংসদকে সাসপেন্ড করা হল। কীসের জন্য, একজন বিজেপি সাংসদকে বাঁচানোর জন্য। ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এর চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। ছোট থেকে অনেক লড়াই করেছি। কিন্তু কোনওদিন ভাবতে পারিনি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানালে এ ভাবে সাসপেন্ড করা হবে। আমার জীবনে এ রকম দেখিনি।”
এর পরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “৪২ এ আগুন জ্বলেছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। আজ সেই ৪২ কে উল্টে দিন। ২৪-এ আগুন জ্বালুন এই ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে। লড়তে হবে ভারতের সব গরিবের জন্য, সব বেকারদের জন্য, সব মহিলাদের জন্য। ভারতবর্ষের মানুষের অন্তরে অন্তরে যেন আগুন জ্বলে। সেই আগুনে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে যেন রাজনৈতিক ভাবে পুড়তে হয়।”