যেখানে ভোট পড়বে না, কিচ্ছু দেব না, ফের ‘হুমকি’ প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর

"যেখানে ভোট পড়বে না আমার, বুথ দেখব, লাইনও যাবে না, জলও যাবে না, পরিষ্কার কথা,'' বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর

যেখানে ভোট পড়বে না, কিচ্ছু দেব না, ফের 'হুমকি' প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর
নিজস্ব ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 06, 2021 | 5:32 PM

হুগলি: ভোট প্রচারে গিয়ে ফের বেলাগাম তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্ত (Tapan Dasgupta)। শনিবার বিশালক্ষী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন সপ্তগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তপনবাবু। তারপর প্রচারে নেমেই রীতিমতো ভোটারদের হুমকি দিতে শোনা গেল প্রাক্তন কৃষি বিপণন মন্ত্রীকে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “যেখানে ভোট পড়বে না আমার, বুথ দেখব, লাইনও যাবে না, জলও যাবে না,পরিষ্কার কথা।”

একুশের নির্বাচনের জন্য শুক্রবারই (West Bengal Assembly Election 2021) ২৯১ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা (Candidate List) করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেশ কয়েকজন বিদায়ী বিধায়ককে এবার টিকিট না দিলেও সপ্তগ্রাম বিধানসভায় গত দু’বারের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে ফের প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস‌। আর তারপরেই ভোটপ্রচারে নেমে রীতিমতো হুমকি দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

এদিন বিশালক্ষী মন্দিরে পুজো দিয়ে পোলবা দাদপুর ব্লকের গোসাই মালিপাড়া প্রচার শুরু করেন তপন দাশগুপ্ত। সেখানেই হুমকির সুর শোনা যায় প্রাক্তন কৃষি বিপণন মন্ত্রীর গলায়। ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা “যেখানে ভোট পড়বে না আমার, বুথ দেখব, লাইনও যাবে না, জলও যাবে না, পরিষ্কার কথা। সব ওই বিজেপিকে দিয়ে করাতে হবে, পুরো বলে দিলাম।”

এই বিষয়ে হুগলি বিজেপি যুব সভাপতি সুরেশ সাউয়ের কটাক্ষ, “তৃণমূল হুমকি দিচ্ছে এটা নতুন কিছু নয়। শুক্রবার প্রার্থী ঘোষণার পরে আজ সপ্তগ্রাম বিধানসভায় দাঁড়িয়েই হুমকি দিচ্ছে মানুষকে। গত লোকসভাতেও হুমকি দিয়েছিল, মানুষ জবাব দিয়েছে, এবারেও মানুষ জবাব দেবে।”

আরও পড়ুন: ‘ভাবছি কী করব,’ টিকিট না পেয়ে দীপেন্দুও বিজেপিমুখী?

প্রসঙ্গত, এটাই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও মানুষকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তপন দাশগুপ্ত। গত বছর অক্টোবরে সপ্তগ্রামেই কর্মীদের নিয়ে এক বৈঠকে তপনবাবুর উক্তি ছিল, “কেউ কেউ বলছে সে নাকি মস্তান। আরে সবচেয়ে বড় মস্তান তো তপন দাশগুপ্ত। তুমি কী মস্তানি দেখাবে।” এখানেই না থেমে প্রাক্তন মন্ত্রীর বার্তা ছিল, “একুশে আমি আবার জিতব। তার পর নজরুল গীতি, শ্যামা সঙ্গীত বাজবে না। দু’দিক দিয়ে পেটানো হবে।”