Panchayat Elections 2023: এবার শান্তনু জেলে, গত ভোটে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার অভিযোগ

WB Panchayat Elections: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সিপিএমের নেতারা। অভিযোগ বন্দুক দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলেন সেই সময়ের সিপিএম প্রার্থীকে।

Panchayat Elections 2023: এবার শান্তনু জেলে, গত ভোটে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার অভিযোগ
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2023 | 5:36 PM

হুগলি: নিয়োগকাণ্ডে আপাতত জেলে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে দল তাঁকে বহিষ্কার করলেও, তিনি ছিলেন এক সময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা। হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষও তিনি। ভোটের বাজারে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত পঞ্চায়েত ভোটে হুমকি-বন্দুকের রাজনীতি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচন জেতেন বলে অভিযোগ বাম-বিজেপির। রীতিমতো ভোট লুঠ করেছিলেন বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। তবে এবার বাম, বিজেপি সকলেই ভোটে লড়ছে। শান্তনু ছিলেন ৩৪ নম্বর হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষও হন জেলা পরিষদে। অভিযোগ, এরপর কার্যত হাতে মাথা কাটতেন শান্তনু। তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের দাপটও কম ছিল না বলেই অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সিপিএমের নেতারা। অভিযোগ বন্দুক দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলেন সেই সময়ের সিপিএম প্রার্থীকে। এবার কাস্তে হাতুড়ি তারা প্রতীকে যিনি লড়ছেন, সেই পান্নালাল গায়েনের কথায়, “গতবার আমাদের প্রার্থী হয়েছিলেন তন্ময় জানা। তাঁকে চাপ দিয়ে, সন্ত্রাস করে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শান্তনুবাহিনীর লোকজন তন্ময়ের বাড়িতে হামলা চালায়। আমাদের প্রস্তাবকের ভাইয়ের দোকানে গিয়ে হামলা করেছিল। তার পরিণতি কী হল তা তো মানুষ দেখতেই পাচ্ছে। এবার দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, মনোনীত করেছে। মানুষ যাতে গতবারের ভুল সংশোধনের সুযোগ পান সেটা দেখা হবে।”

অন্যদিকে এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বাপ্পাদিত্য ঘোড়ুই। তাঁর কথায়, “মানুষ প্রথমে বুঝতে পারেনি একটা চোরের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা তারকেশ্বর, বাবার মাটি। তা কলঙ্কিত করেছে শান্তনু। পাঁচ বছর শান্তনু ছোট চোর থেকে ডাকাতে পরিণত হয়েছিল। আজ জেলে। কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় করেছে। গতবার মানুষকে জোর করে, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভোটে জিতেছিলেন। এখন জেলে বসে আছে।”

শান্তনুর জায়গায় এবার তৃণমূল টিকিট দিয়েছে দেবীপ্রসাদ রক্ষিতকে। তিনি অবশ্য তাঁর দলের প্রাক্তন সতীর্থের ভূমিকা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নন। কানে তুলতে চাইছেন না বিরোধীদের অভিযোগও। দেবীপ্রসাদ রক্ষিতের কথায়, “এটা কারও ব্যক্তিগত আসন নয়। দল যাকে প্রার্থী করবে সে নির্বাচনে লড়াই করবে। বিরোধীরা অভিযোগ করবেই। তবে ভোট হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে। আমরাই জিতব।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দোষী কি দোষী নন তা বিচার করার দায়িত্ব আদালতের। আর কেউ দোষ করলে তৃণমূল কখনওই তা সমর্থন করে না।