Body Recover: আলমারি খুলতে গিয়ে মাকে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখলেন ছেলে, এলাকার লোকজনের অন্য কথা…
Hoogly News: এই ঘটনায় পরতে পরতে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারের লোকজনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে।
হুগলি: এক চিলতে টিনের ঘর। অভিযোগ, সেই টিনের ঘরের ভিতরে আলমারি থেকে উদ্ধার হয় এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই বৃদ্ধা। শনিবার সকালে আলমারি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় বলে দাবি এলাকার একাংশের। যদিও তাঁর ছেলের দাবি, আলমারির সামনে মুখ গুঁজে পড়েছিলেন মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাটে। এলাকা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভারতী ধাঁড়া (৬২)। এদিন জামাকাপড় বের করার জন্য তাঁর ছেলে আলমারিটি খুলতে গিয়ে মাকে তার সামনে পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনার পরতে পরতে ধোঁয়াশা। চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতেদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তেও পাঠানো হয়েছে।
ভারতীদেবীর ছেলে বিশ্বনাথ ধাঁড়ার বক্তব্য, “কী হল বুঝতেই পারছি না। আমি পরশু বাড়ি ফিরে বাবাকে জিজ্ঞাসা করি মা কোথায়? বাবা বলল জানে না। আমি আবার বললাম দু’জনই তো ঘরে থাকো, কোথায় গেল একজন জানো না? বলছে জানে না। পাশেই মাসির বাড়ি। সেখানে গিয়ে খোঁজ করলাম। শুনলাম নেই। ৮ তারিখ থেকে মায়ের খোঁজ নেই। শুক্রবার আমি থানায় যাই। ফেসবুকে ছবি দিই।”
ছেলের কথায়, এরপরই তিনি একটি ঠাকুরবাড়িতে যান। সেখানে তাঁকে বলা হয় মায়ের পরণের কিছু নিয়ে আসলে বলে দেবেন কোথায় আছেন। বিশ্বনাথের কথায়, “আজ সকালে মায়ের আলমারি থেকে কাপড় বের করতে গিয়ে দেখি মা মুখ গুঁজে পড়ে আছে। মায়ের কোনও রোগ নেই। কী হল ভাবতেই পারছি না। মা-বাবার মধ্য়ে প্রায় প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। সংসারে এসব তো হয়ই। কীভাবে এটা হল বুঝতে পারছি না।”
এক প্রত্যক্ষদর্শী রাম ডোমের কথায়, “দু’টো পা ওই মহিলার আলমারির ভিতরে ছিল। সেই পায়ের উপর কাঁথা, বালিশ সব চাপা দেওয়া ছিল। আমরা দেহ বের করার সময় দেখি। মনে হচ্ছে যা হোক করে দেহটা ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আলমারি। পুরো দেহ আলমারিতে ঢোকাতে পারেনি। পা বাইরে, হাত কিছুটা বাইরে।”