Car Accident: পাঁচ বন্ধু মিলে সাঁকরাইল থেকে পুরী যাওয়ার পথে ভদ্রকে দুর্ঘটনা, মৃত ২
দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, "এই দুর্ঘটনা নিয়ে ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। খুব দ্রুতই দুই বন্ধুর দেহ আমাদের রাজ্যের দুই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।"
সাঁকরাইল: বেড়ানোর আনন্দ পরিণত হল বিষাদে! সবে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছিল। সাদা রঙের জাইলো গাড়িটা ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুতগতিতে ভদ্রক (Bhadrak) ছাড়িয়ে পুরীর (Puri) দিকে যাচ্ছে। হঠাৎই ওড়িশার (Odisha) ভদ্রক জেলার বায়াবানাপুরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। শনিবার ভোরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের দুই যুবকের। গুরুতর আহত হয়েছেন গাড়িচালক সহ আরও চারজন। বর্তমানে তাঁরা কটক স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম গৌতম দাস (৩২) এবং শুভজিৎ ভৌমিক (২৮)। হাওড়ার সাঁকরাইলের মাশিলা এলাকার বাসিন্দা গৌতম পেশায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের ঠিকাদার এবং হলদিয়ার বাসিন্দা শুভজিৎ পেশায় দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক। এঁদের আরও ৩ বন্ধু সহ গাড়িচালক কটক স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাওড়ার সাঁকরাইল থেকে একটি জাইলো গাড়িতে করে পাঁচ বন্ধু পুরী বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে বন্ধুরা খাওয়া-দাওয়াও করেন। দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই গাড়িটি ভদ্রকের বায়াবানাপুরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌতমের। পরে পুলিশ চালক সহ বাকিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে শুভজিতের মৃত্যু হয়। গাড়িটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, “এই দুর্ঘটনা নিয়ে ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। খুব দ্রুতই দুই বন্ধুর দেহ আমাদের রাজ্যের দুই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, মৃত দুই যুবকই বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। এঁদের মধ্যে আবার শুভজিৎ অবিবাহিত এবং গৌতম বিবাহিত। তাঁর বছর খানেকের একটি ছেলেও রয়েছে। এভাবে তরতাজা দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনের পরিবারেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।