Howrah Planetarium: কলকাতার খুব কাছেই থ্রি-ডি তারামণ্ডল, কোথায় জানতে চান?

Howrah: শীতের মরশুমে হাওড়াবাসীর (Howrah) জন্য একটি বড় উপহার হাওড়া পুরনিগমের। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শরৎ সদনের পাশে তৈরি হওয়া এই তারামণ্ডল খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য।

Howrah Planetarium: কলকাতার খুব কাছেই থ্রি-ডি তারামণ্ডল, কোথায় জানতে চান?
হাওড়ার তারামণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2022 | 10:31 PM

হাওড়া: শীত পড়ছে। আর শীতের মরশুম মানেই বাঙালির ছুটির দিনের ঠিকানা চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, বিরলা তারামণ্ডল। শহর ও শহরতলির মানুষ এতদিন তারামণ্ডল বলতে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামকেই (Birla Planetoriam) চিনত। কিন্তু এবার কলকাতার কাছেই তৈরি হচ্ছে আরও একটি তারামণ্ডল। কলকাতার খুব কাছেই হাওড়া ময়দানে তৈরি হল থ্রি ডি তারামণ্ডল। শীতের মরশুমে হাওড়াবাসীর (Howrah) জন্য একটি বড় উপহার হাওড়া পুরনিগমের। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শরৎ সদনের পাশে তৈরি হওয়া এই তারামণ্ডল খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য।

দেশের প্রথম এই থ্রি ডি তারামণ্ডলের নাম অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রিসার্চ সেন্টার। এখানে দেখা যাবে চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্স। প্রায় ১৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই তারামণ্ডলটি তৈরি করার জন্য। গত অক্টোবর মাসে পুজোর আগে এটির উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সেই সময় বেশকিছু কারিগরি সমস্যা সমাধানের কাজ বাকি থাকায়, তা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া যায়নি। এখন হাওড়ার এই তারামণ্ডল সাধারণ নাগরিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, এবার শীতে হাওড়ার মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার এই থ্রি ডি তারামণ্ডল বা ‘অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রিসার্চ সেন্টার’। আগামী ২ ডিসেম্বর সাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত প্রতিদিনই তিনটি করে শো দেখা যাবে এই তারামণ্ডলে। কখন কখন চলবে সেই শো? দুপুর ৩টে,বিকেল ৪টে ও বিকেল ৫টা – আপাতত এই তিনটি সময়ে চলবে শো। টিকিটের দাম নিয়ে ভাবছেন? তাও খুব সামান্য। ছোটদের জন্য মাথাপিছু ৭০ টাকা। বড়দের জন্য মাথাপিছু ১২০ টাকা। উন্নত মানের থ্রি ডি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে মহাকাশ জগতের সম্পর্কে আরও ভাল করে জানতে পারবে ছোটরা।

প্রসঙ্গত, বিরলা প্ল্যানেটোরিয়াম শহর ও শহরতলির মানুষদের সকলের কাছেই পরিচিত।  এবার আরও একটি প্ল্যানেটোরিয়াম উপহার পেল বঙ্গবাসী।