TMC MLA: ‘পায়খানার টাকাও বিধায়ক খেয়ে নেন’, হাওড়ার বিদায়ী পুরমাতার অভিযোগ
Howrah: ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি। তবে ভোট না হওয়ায় আপাতত হাওড়া পুরনিগম প্রশাসক চালাচ্ছেন। লক্ষ্মী সাহানির অভিযোগ, এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে বেআইনি, অসামাজিক কাজকর্ম। উত্তর হাওড়ার বিধায়কের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবি করেন তিনি।
হাওড়া: তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম হাওড়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রাক্তন কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। স্থানীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বুধবার। ঘটনাস্থল উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার অন্তর্গত মাছ বাজার এলাকা।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি। তবে ভোট না হওয়ায় আপাতত হাওড়া পুরনিগম প্রশাসক চালাচ্ছেন। লক্ষ্মী সাহানির অভিযোগ, এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে বেআইনি, অসামাজিক কাজকর্ম। উত্তর হাওড়ার বিধায়কের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবি করেন তিনি।
লক্ষ্মী সাহানি বলেন, “এখানে অসামাজিক কাজ করে। ১০ বছর ধরে আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গৌতম চৌধুরী বিধায়ক হওয়ার পর হাওড়া স্টেশন এলাকায় যেতেই পারি না। ওখানে অন্যায়ভাবে টাকা তোলা হয়। পায়খানা বাথরুমের পয়সা গৌতম চৌধুরী খান। আজ আমি বলেছি বলে, মারতে বলেছে।”
লক্ষ্মীর স্বামী সন্তোষ সাহানিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। তিনি বলেন এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। গৌতম চৌধুরী বলেন, “মেয়ে বউয়ের এসব মারামারি। এখানে আমি কী করব? এদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”