Underwater Metro in Kolkata: চড়তে পারবেন গঙ্গার নিচের মেট্রো? আন্দোলনে সিঁদুরে মেঘ
Underwater Metro in Kolkata: আন্দোলকারীদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন। কিন্তু, এখন আচমকা অন্য সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এতদিন কাজ করার পরেও তাঁদের ছেঁটে ফেলে বাইরে থেকে অন্য সংস্থার মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে।
হাওড়া: হাতে আর মাত্র দু’টো দিন। তারপরেই প্রতীক্ষার অবসান। বহু জট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫ মার্চ থেকে আম-আদমির জন্য খুলে যেতে চলেছে গঙ্গার নিচের মেট্রোর দরজা। তারমধ্য়েই দেখা যাচ্ছে সিঁদুরে মেঘ। মেট্রো চলাচল শুরুর আগেই হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের বাইরে এবার বিক্ষোভে সামিল হলেন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীরা। দাবি পুনর্নিয়োগের। চাকরি হারানোর ভয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা। বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা বলছেন, হাওড়া ময়দানে নতুন মেট্রো স্টেশনের দায়িত্বে থাকা অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী ও ট্রাফিক মার্শালদের একশো জনকে আর নিয়োগ করা হবে না। এমনটা জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এখন চাকরি চলে গেলে তাঁরা কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছুই জানেন না। সে কারণেই উঠছে পুনর্নিয়োগের দাবি।
আন্দোলকারীদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন। কিন্তু, এখন আচমকা অন্য সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এতদিন কাজ করার পরেও তাঁদের ছেঁটে ফেলে বাইরে থেকে অন্য সংস্থার মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরই প্রতিবাদে এদিন তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে মেট্রো চলাচল বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী নয়ন দাস বলছেন, “টানা ১৪ বছর কাজ করার পর এখন বলা হচ্ছে আগামী ১৪ তারিখ থেকে আপনাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে এখন আমরা দেখছি চুক্তিভিত্তিতে বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসা হয়ে গিয়েছে। চুক্তি ভিত্তিতে যদি লোক নেওয়াই হয় তাহলে আমরা যাঁরা এত বছর কাজ করলাম তাঁদের কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? করোনাকালে জল-বৃষ্টি মাথায় রেখে আমরা এখানে কাজ করেছি। তখন তো বলেনি আপনাদের কাজ করতে হবে না।”
আর এক আন্দোলনকারী শ্য়াম বলছেন, “বলছে ১৫ তারিখ মেট্রো চালুর পর আমাদের ডিউটি শেষ। যদি প্রাইভেটেই কাজ করাবে তাহলে আমরা যাঁরা ১৪ বছর ধরে এখানে কাজ করলাম তাঁরা কেন সুযোগ পাবে না? আমাদের অভিজ্ঞতার দাম নেই? আমাদেরও তো এজেন্সি আছে। আমরা অস্থায়ী কাজই চাইছি। স্থায়ী কাজের কথা বলছি না। কিন্তু, আমরা শুধু চাই আমাদের কাজে বহাল রাখা হয়। আমরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন আছি। আমরা ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছি। এখন আন্দোলন ছাড়া তো কোনও উপায় নেই।”