Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah: শপিং মলের চলন্ত সিঁড়িতে হাত আটকে গেল ছোট্ট শিশুর, হুলুস্থূল শিবপুরে

Shopping Mall Escalator: দেড় ঘণ্টার চেষ্টা পর শিশুটির হাত অক্ষত অবস্থায় চলন্ত সিঁড়ির থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের এক শপিং মলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় শপিং মল চত্বরে।

Howrah: শপিং মলের চলন্ত সিঁড়িতে হাত আটকে গেল ছোট্ট শিশুর, হুলুস্থূল শিবপুরে
শিবপুরের শপিং মলImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2023 | 12:00 AM

হাওড়া: তিন বছরের ছোট্ট শিশু হাত আটকে গেল শপিং মলের চলন্ত সিঁড়িতে। কান্নাকানি, চিৎকার। হুলুস্থূল কাণ্ড। কয়েক ঘণ্টা ধরে এভাবে আটকে থাকে শিশুটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। পরে অবশ্য দেড় ঘণ্টার চেষ্টা পর শিশুটির হাত অক্ষত অবস্থায় চলন্ত সিঁড়ির থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের এক শপিং মলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় শপিং মল চত্বরে।

ছোট্ট ওই শিশুটির বাড়ি শিবপুর ট্রাম ডিপো এলাকায়। বুধবার সন্ধেয় পরিবারের বড়দের সঙ্গে ওই শপিং মলে ঘুরতে গিয়েছিল সে। ঝা চকচকে শপিং মল। চারিদিকে আলোয় ভরা। সেই সব দেখে ছোট্ট বাচ্চাটার মনে আনন্দের সীমা ছিল না। নিজের মনে খেলছিল শপিং মলে। আর সেই সময়েই পরিবারের লোকজনের নড়র এড়িয়ে চলে যায় চলন্ত সিঁড়ির কাছে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। চলন্ত সিঁড়ির রোলারের কাছে কোনওভাবে হাত ঢুকে আটকে যায় তিন বছরের ওই শিশুর। কিছুক্ষণ চেষ্টা করে হাত বের করতে না পেরে ভয় পেয়ে যায় সে। কাঁদতে শুরু করে। আর সেই কান্নাকাটিতেই বিষয়টি সকলের নজরে আসে।

পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে শপিং মলে তখন আশপাশে যাঁরা ছিলেন, সকলেই চেষ্টা করেন শিশুটির হাত ওখান থেকে বের করে আনার। কিন্তু কোনও চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয় না। এদিকে ততক্ষণে খবর পৌঁছে গিয়েছিল শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছেও। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তারা দ্রুত চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ করে দেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। শিবপুর থানাতেও জানানো হয় বিষয়টি। শপিং মল থেকে ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। শেষ পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত শিশুর হাত চলন্ত সিঁড়ির ফাঁক থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়।

ঘটনায় শিশুটির হাত অক্ষত থাকলেও, ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে। শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধারের পর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাত পর্যন্ত সেখানেই ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল সে।