Howrah TMC Group Clash: বখরা নিয়ে ঝামেলা, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বালি, গ্রেফতার ৪২

Bally TMC Group Clash: জানা গিয়েছে, কালিতলা-সাহেব বাগান এলাকার দাপুটে তিন তৃণমূল নেতা খোকন গায়েন, ষষ্ঠী গায়েন ও অসিত গায়েন। এরা আবার তিন ভাই। খোকন গায়েনের খুড়তুতো ভাই হলেন ষষ্ঠী গায়েন। ষষ্ঠী আর অসিত আবার নিজের ভাই।

Howrah TMC Group Clash: বখরা নিয়ে ঝামেলা, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বালি, গ্রেফতার ৪২
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2023 | 2:14 PM

বালি: সোমবার রাত্রিবেলা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বালির নিশ্চিন্দা থানার কালিতলা সাহেববাগান এলাকা। দফায়-দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় ওই এলাকা। সূত্রের খবর, ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রাথমিকভাবে দু’পক্ষের বচসা বাধে। সেই জল গড়ায় বচসায়। পরে দু’পক্ষই-দু’পক্ষের দিকে আঙুল তোলে। সংঘর্ষ থামাতে এলাকায় উপস্থিত হয় নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে বালি, বেলুড়, লিলুয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। রাত্রিবেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ৪২ জন। মঙ্গলবার সকালে ফের ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে খবর। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে র‌্যাফ।

জানা গিয়েছে, কালিতলা-সাহেব বাগান এলাকার দাপুটে তিন তৃণমূল নেতা খোকন গায়েন, ষষ্ঠী গায়েন ও অসিত গায়েন। এরা আবার তিন ভাই। খোকন গায়েনের খুড়তুতো ভাই হলেন ষষ্ঠী গায়েন। ষষ্ঠী আর অসিত আবার নিজের ভাই। তবে বিবাদ চলছিল খোকন গায়েন-ষষ্ঠী গায়েনের সঙ্গে অসিত গায়েনের। সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যে বেলা ব্যবসার বখরা নিয়ে বৈঠক হয় দুই পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, বৈঠক শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানের মধ্যেই আচমকাই এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীক উপর আক্রমণ করে। দুপক্ষের কয়েকশো সমর্থক পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় আহত অন্তত ৪ জন। অসীত গায়েন নিজেও আক্রান্ত বলে খবর। তিনি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ষষ্ঠী গায়েন বলেন, “আমি বিন্দু বিসর্গ জানি না। আমি অসুস্থ। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আজ সকালবেলা আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে।”

জানা যাচ্ছে, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হন এদিন। ভাঙচুর করা হয় স্থানীয় একটি পানশালা। শুধু তাই নয়, সেখানে আসা সাধারণ মানুষের উপরও হামলায় চালায় দুষ্কৃতীরা।

অশান্তি থামে আসরে নামে পুলিশ। লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি প্রাথমিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে নিশ্চিন্দা থানা। তবে এতটাই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় যে বালি, বেলুড়, লিলুয়া থানার পুলিশও। ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গভীর রাতে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে ঠান্ডা হলেও মঙ্গলবার সকাল বেলা আসরে নামেন মহিলারা। আক্রান্ত গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যরা অপর গোষ্ঠীর বাড়িতে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ সকালে এলাকায় আসেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। তিনি প্রাথমিকভাবে ঘটনায় পুলিশের দুর্বলতার দিকেও আঙুল তুলেছেন। কল্যাণ ঘোষ বলেন, “সমাজ বিরোধীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই এলাকায় অসীত গায়েন প্রার্থী হয়েছিলেন। দুষ্কৃতীর দল বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে পঞ্চায়েত দখল করতে চেয়েছিল। তবে মানুষের আশীর্বাদে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত দখল করে। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাইছি।”