Ration Scam: উলুবেড়িয়ার বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লাখ লাখ টাকা!

Uluberia: অভিযোগ, অঙ্কিত রাইস মিল গ্রামবাসীদের নানাভাবে প্রলোভন দেখাত। এজেন্টরা এসে বোঝাত, ব্যাঙ্কের পাশবই থাকলেই টাকা পাওয়া যাবে। অভিযোগ, পরে তাঁরা বুঝেছেন, এ টাকা সোজা পথের টাকা নয়। এমনও অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির টাকা ঢুকত অ্যাকাউন্টগুলিতে। তাঁরা এসএমএসে দেখতেন, প্রচুর ঢাকা ঢুকছে অ্যাকাউন্টে। তবে তাঁদের দেওয়া হতো সামান্য কিছু।

Ration Scam: উলুবেড়িয়ার বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লাখ লাখ টাকা!
সঞ্জয় মান্না। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2023 | 1:34 PM

হাওড়া: উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় অঙ্কিত রাইস মিল। সম্প্রতি সেখানে টানা ২৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় এই রাইস মিল ইডির স্ক্যানারে। প্রচুর তথ্য এখান থেকে উঠে এসেছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। এবার এলাকাবাসীর কাছ থেকে উঠে আসছে সাংঘাতিক সব তথ্য। উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের প্রায় ৫ থেকে ৬টি গ্রামের বাসিন্দারা মুখ খুলেছেন এই রাইস মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিভিন্ন এজেন্ট মারফত গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলানো হতো।

অভিযোগ, গ্রামবাসীদের নামে খোলা সেইসব অ্যাকাউন্টে ধান বিক্রির টাকা ঢুকত। কারও অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার, কারও ৫০ হাজার, কারও অ্যাকাউন্টে তারও বেশি। তার বিনিময়ে জমি না থাকলেও বা ধান চাষ না করলেও প্রতি বছর বিভিন্ন এজেন্ট মারফত সামান্য কিছু টাকা পেতেন গ্রামবাসীরা।

আরও অভিযোগ, অঙ্কিত রাইস মিল গ্রামবাসীদের নানাভাবে প্রলোভন দেখাত। এজেন্টরা এসে বোঝাত, ব্যাঙ্কের পাশবই থাকলেই টাকা পাওয়া যাবে। অভিযোগ, পরে তাঁরা বুঝেছেন, এ টাকা সোজা পথের টাকা নয়। এমনও অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির টাকা ঢুকত অ্যাকাউন্টগুলিতে। তাঁরা এসএমএসে দেখতেন, প্রচুর ঢাকা ঢুকছে অ্যাকাউন্টে। তবে তাঁদের দেওয়া হতো সামান্য কিছু।

সঞ্জয় মান্না নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, সঞ্জয়ই চালকল ও গ্রামবাসীদের মধ্যে যোগাযোগের সেতু। তিনিই এজেন্ট। যদিও সঞ্জয় মান্না সেসব মানতে নারাজ। বরং তিনি বলছেন, “আমার কাছে কিছু নেই। মিলের লোকেরা আসত, সবই ওরা করত। ওরা টাকা দিয়ে গেলে আমি দেখে নিতাম। বছর তিনেক হল আমি এই কাজ করছি। যারা ধান দেয় তাদেরই টাকা দিই। এ টাকা ধান বিক্রিরই টাকা।”

যদিও পরে আমতা আমতা করে সঞ্জয় বলেন, অঙ্কিত মিল থেকে যা বলা হতো তাই তিনি করতেন। ৫০০ থেকে ৭০০ জনের নামে ব্যাঙ্কের বই করিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এলাকায় রীতিমতো ক্যাম্প করে অভিরামপুর শ্রীরামপুর সুমদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে অ্যাকাউন্ট খোলেন।